প্রস্তাবিত কাওয়াখালি উপনগরী প্রকল্পে সকলে ক্ষতিপূরণ না-পাওয়া পর্যন্ত পাঁচিল গড়তে দেবেন না বলে হুমকি দিলেন ভূমিহারারা। মঙ্গলবার এসজেডিএ চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর তা জানিয়ে দেন কাওয়াখালি পোড়াঝাড় ভূমিরক্ষা কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে নানা ভাবে তাঁদের বুঝিয়ে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরুর জন্য রাজি করাতে চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান। বাসিন্দারা প্রশ্ন তোলেন অনেকেই জমির মূল্য পাননি। প্যাকেজ পাননি। সে সব না মেটানো পর্যন্ত কী করে জমিতে পাঁচিল দিচ্ছে এসজেডিএ? চেয়ারম্যান তাঁদের আশ্বস্ত করতে জানান, সমস্যাগুলি তিনি নথিভুক্ত করছেন। তা মেটানো হবে। তবে পাঁচিল দিতে দেওয়া হোক। বৈঠকে তর্ক না করলেও পরে ভূমিহারারা জানিয়ে দেন, ক্ষতিপূরণ না-মেলা পর্যন্ত কাজ শুরু করতে গেলে তাঁরা বাধা দেবেন। চেয়ারম্যান বলেন, “বাম জমানায় এসজেডিএ’র তরফে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও যে প্যাকেজ দেওয়ার কথা তা তারা রাখেননি। তাই সমস্যা রয়েছে। পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে তাই ভাবতে হচ্ছে। প্যাকেজে যে সব সুবিধা বলা ছিল তা দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। চেক যাঁরা পাননি তাদের বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব। সোমবার কাজ শুরু করতে গেলে বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। তাই তাঁদের বৈঠক করে এ দিন বোঝানো হয়েছে। আশা করি তাঁরা কাজে বাধা দেবেন না।” কাওয়াখালি পোড়াঝাড় ভূমিরক্ষা কমিটি সদস্যরা অবশ্য আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। বৈঠকে যোগ দিতে আসা ননীবালা কর্মকার, গৌতম দাস, হাবুল রায়রা সাফ জানিয়ে দেন আগে ক্ষতিপূরণ মেটাতে হবে। তা না হলে তারা কাজ করতে বাধা দেবেন। কাওয়াখালি থিকনিকাটা ভূমিরক্ষা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক যুগল সরকার বলেন, “প্যাকেজ সুযোগ সুবিধা এবং জমিহারারা চেক না-পাওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ করতে দেব না।” তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন পশ্চিমবঙ্গ কৃষি জমি জীবন এবং জীবিকা রক্ষা কমিটির সভাপতি কুড়ানু দেব সিংহ। তিনি বলেন, “ভূমিহারাদের একজনও যদি দাবি করেন তিনি ক্ষতিপূরণ ঠিক মতো পাননি বা জমির মূল্য পাননি তা হলে আমরা কাজ করতে দেব না।” কাওয়াখালি থিকটিকাটা ল্যান্ড ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কর্তারা জানান, পাঁচিল দেওয়া নিয়ে তাঁদের আপত্তি নেই। তবে তাঁরা জমি ফেরত চেয়েছেন। ফেরত দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। তা কার্যকর না হলে পরবর্তীতে তাঁরাও বাধা দেবেন। |