সুন্দরবনের আয়লা-বিধ্বস্ত এলাকায় অনেক বাঁধই নতুন করে গড়তে হবে। সেই জন্য বেশ কিছু জমি না-নিলেই নয়। এই অবস্থায় ২০০৯-এর মে মাসের বিধ্বংসী আয়লায় দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি ব্লকে এক লপ্তে ১৭০০ একরের মতো জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আজ, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হচ্ছে।
ন’মাস আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ‘সরকারি’ প্রয়োজনেও একসঙ্গে এত জমি অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব এই প্রথম। চলতি মাসের গোড়ায় সুন্দরবন সফরে গিয়ে আয়লা-বিধ্বস্ত এলাকায় বাঁধ পুনর্নির্মাণে জমি দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
আড়াই বছরেরও বেশি আগে আসা আয়লা জনবসতির সঙ্গে সঙ্গে লন্ডভন্ড করে দিয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের অনেক নদীর বাঁধ। সেই সব বাঁধ নতুন করে গড়তেই হবে। কিন্তু বাঁধের জন্য প্রয়োজনীয় জমি মিলছে না। রাজ্যের অন্য অনেক জায়গায় জমির অভাবে বিভিন্ন প্রকল্প যেমন আটকে আছে, আয়লা-দুর্গত এলাকার বাঁধ পুনর্নির্মাণ শুরু করতে না-পারার কারণও সেটাই। তাই খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই সুন্দরবনে গিয়ে বাঁধের জন্য জমি দেওয়ার আর্জি জানাতে হয়েছে।
সরকারের তরফে সুন্দরবনে জমি অধিগ্রহণ করার প্রশাসনিক অনুমোদন চেয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করছে মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার সেচ দফতর। তবে আজ, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভা ওই প্রস্তাবে সায় দিলে মাঠে নেমে জমি অধিগ্রহণের আসল কাজটি অবশ্য করবে ভূমি দফতর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার যে-সব ব্লকে আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পুনর্নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আসছে, সেগুলি হল গোসাবা (৮৯০ একর), কুলতলি (২৪০ একর), পাথরপ্রতিমা (১২০ একর), নামখানা (১০৫ একর), সাগর (১০০ একর), কাকদ্বীপ (৪০ একর), মথুরাপুর-দুই (৩৪ একর) ও জয়নগর-দুই (২০ একর)। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে ৭৪ একর, হাড়োয়ায় ২৫ একর, সন্দেশখালি-এক ব্লকে ১৮ একর, বাদুড়িয়ায় ১৪ একর এবং বসিরহাটে সাত একর এবং সন্দেশখালি-দুই ব্লকে এক একরের কম জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আসছে। |