|
|
|
|
নন্দীগ্রাম-কাণ্ড |
জামিন নাকচের আবেদন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে চার্জশিটে নাম থাকা যে ৬ সিপিএম নেতা-কর্মী আপাতত জামিনে মুক্ত, তাঁদের জামিন খারিজ করার জন্য মঙ্গলবার হলদিয়া আদালতে আবেদন জানাল সিআইডি। ওই ৬ জন মামলার সাক্ষীদের ‘প্রভাবিত’ করতে পারেন, তদন্তে বাধা দিতে পারেনপ্রধানত এই যুক্তিতেই জামিন খারিজের আবেদন জানানো হয়। ২০০৭-এর নভেম্বরে সিপিএমের নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল’পর্বে সন্ত্রাসে অভিযুক্ত হয়ে মহেশপুরের স্বদেশ দাস, স্বপন দাস, গোকুলনগরের কালীপদ গাড়ুদাস, বাদল গাড়ুদাস, সাগর দাস ও সাতেঙ্গাবাড়ির সন্তোষ বর্মন অনেক আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পান। গত ৩০ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে হলদিয়া আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এই ৬ জনকেও অভিযুক্ত করেছে সিআইডি। এসিজেএম সর্বাণী মল্লিক চট্টোপাধ্যায় আগামী ১৪ মার্চ এই আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন।
এ দিকে, এক দিনের সিআইডি হেফাজতের পর খেজুরির শেরখাঁচকের সিপিএম কর্মী নাড়ু করণ ও কানাইলাল ভুঁইয়াকেও এ দিন আদালতে হাজির করা হয়। ১৪ দিনের জেল-হাজতের নির্দেশ হয়। এই মামলায় ৭৫ জন ‘ফেরার’-সহ (সেই সঙ্গে জেলবন্দি ৭ ও জামিনে মুক্ত ৬) মোট ৮৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে গত ৩০ জানুয়ারি হলদিয়া আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল সিআইডি। ওই রাতেই ‘ফেরার’দের মধ্যে দুই সিপিএম কর্মীনাড়ু করণ ও কানাইলাল ভুঁইয়াকে খেজুরি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। তাঁদের পর দিন হলদিয়া আদালতে হাজির করে সিআইডি নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু, চার্জশিট হয়ে যাওয়ার পরে অভিযুক্তদের সিআইডি হেফাজতে নেওয়া ‘অর্থহীন’ বলে সে সময়ে সওয়াল করেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী। আদালত ধৃতদের জেল-হাজতে পাঠায়। সিআইডি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে উচ্চ আদালত জানায়, চার্জশিটের পরেও ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। শেষে সোমবার নাড়ু করণ ও কানাইলাল ভুঁইয়াকে এক দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন হলদিয়ার এসিজেএম। |
|
|
|
|
|