টুকরো খবর
বোলারের অভাব, প্র্যাক্টিসে সমস্যায় সৌরভ-লক্ষ্মীরা
বিজয় হাজারের প্রস্তুতিতে নেমেই সমস্যার মুখে পড়লেন বাংলা অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যথেষ্ট বোলার না থাকায় মঙ্গলবার ঠিক মতো প্র্যাক্টিসই করতে পারলেন না সৌরভ, লক্ষ্মীরতন শুক্লরা। বাংলা দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই এখন শহরের বাইরে। ঋদ্ধি-দিন্দা-সামি-অনুষ্টুপ-শ্রীবৎস গিয়েছেন দলীপ খেলতে। মনোজ তিওয়ারি অস্ট্রেলিয়ায়। আছেন বলতে সৌরভ, লক্ষ্মী-সহ কয়েক জন। কিন্তু এ দিন আবার স্থানীয় লিগের ম্যাচও ছিল। যেখানে ক্লাব ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত ছিলেন বিজয় হাজারের প্রাথমিক টিমে থাকা প্রচুর ক্রিকেটার। যার ফলে নেটে যথেষ্ট বোলার না পাওয়ায় প্র্যাক্টিসেও তাড়াতাড়ি দাঁড়ি টেনে দিতে হল। বোলার না থাকায় বুধবার প্র্যাক্টিসে ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছেন বাংলার কোচ ডব্লিউ ভি রামন। জানা গেল, লক্ষ্মীরতন শুক্ল-র মতো কেউ কেউ চেষ্টা করছেন কিছু নেট বোলার জোগাড় করে বুধবার প্র্যাক্টিস চালু রাখা যায় কি না। পুরো ঘটনা নিয়ে কিছু অসন্তোষও ছড়িয়েছে শিবিরে। প্রশ্ন উঠছে, টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ, প্র্যাক্টিসের সূচি আগেভাগে নির্ধারিত থাকলেও এই সমস্যা হল কেন?

রাজ্য দাবা সংস্থা ভেঙে দেওয়া হল
প্রয়াত ক্রীড়ামন্ত্রীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে থাকা রাজ্য দাবা সংস্থা ভেঙে দিল সর্বভারতীয় দাবা সংস্থা। রমলাদেবী অবশ্য নির্বাচনের পরে নিঃশব্দে দাবা থেকে সরে গিয়েছেন। তখন কেউ প্রেসিডেন্ট ছিলেন না। সচিবও ছিলেন না। রাজ্য সংস্থায় নির্বাচন ১৮ বছর হয়নি। ফলে সর্বভারতীয় সংস্থার আরও সুবিধে হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সংস্থার বদলে তিন জনের অ্যাড হক কমিটি আগেই কাজ শুরু করেছিল। মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য সংস্থা ভাঙার সরকারি ঘোষণা করলেন সর্বভারতীয় দাবা সংস্থার সচিব ভরত সিংহ চহ্বান। জাতীয় দাবা সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট দিব্যেন্দু বড়ুয়ার উপস্থিতিতে। ওই কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন অতনু লাহিড়ি। চহ্বান বলেন, “কমিটির তিন সদস্য নতুন রাজ্য সংস্থা গঠনে সাহায্য করবেন। যাতে গণতান্ত্রিক ভাবে, নির্বাচনের মাধ্যমে সংস্থা গঠিত হয়।” কমিটি এর মধ্যেই ঘোষণা করে দিল জাতীয় মিটের জন্য বাংলা দলও। এই দলে আছেন অঞ্জন মল্লিক, রূপঙ্কর নাথ, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, সান্তু মণ্ডল, শঙ্কর মজুমদার।

পিএলএসের সমস্যা এখন মাঠ
প্রিমিয়ার লিগ সকার নিয়ে আইনের শেষ বাধাটুকুও উতরে গেল আইএফএ। কিন্তু ছোটখাটো সমস্যা থেকে যাচ্ছে জেলা নিয়ে। দু’একটি জেলা সংস্থা বাড়তি টাকা চাইছে। দু’টি জেলা সংস্থায় নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল। ফ্র্যাঙ্কাইজিরা অবশ্য চিঠি পাঠিয়েছে জেলা সংস্থার কাছে, নথিবদ্ধ হতে চেয়ে। জেলা সংস্থার আনুষ্ঠানিক সভায় সব মিটে যাবে বলে আশায় আইএফএ। শিলিগুড়ি ও হলদিয়ার মাঠ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারস্থ হতে হবে। বারাসত, দুর্গাপুরে সমস্যা নেই। কলকাতায় কোথায় খেলা হবে, ঠিক হয়নি। মোহনবাগান মাঠে গ্যালারি ভাঙা বলে পাওয়া যাবে না। রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়াম জরাজীর্ণ। বাকি থাকছে ইস্টবেঙ্গল মাঠ, যেখানে তাঁবু ভাঙা হচ্ছে। এরিয়ান গ্যালারিও ভাঙা। তবে আই এফ এ এ সব নিয়ে তেমন চিন্তিত নয় ফেডারেশনের কাছে আনুষ্ঠানিক সঙ্কেত পাওয়ায়। পিএলএস শুরু করার সবুজ সঙ্কেত গতকালই দিয়ে দিয়েছিল ফেডারেশন। প্রশ্ন ছিল দুটি। এক, জেলার সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নিয়মমতো নথিবদ্ধ হয়েছে কি না। দুই, বিদেশিদের ট্রান্সফার ফিফা নিয়ম মেনে ঠিকঠাক করা হচ্ছে কিনা। সেই সব নথি নিয়ে আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় দিল্লিতে কথা বলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের সঙ্গে। নথি পরীক্ষার পরে কুশলবাবু বলেন, “কাগজপত্র দেখে আমি খুশি। পিএলএস নিয়ে আই এফ এ ঠিকমতই এগিয়েছে। তাই আমাদের সম্মতিও ওরা পেয়ে গেছে।”

সেমিফাইনালে দীপালি সঙ্ঘ
আইএফএ পরিচালিত বেঙ্গল সকার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১২ প্রতিযোগিতায় বাঁকুড়া জোনে চ্যাম্পিয়ন হল কালনার দীপালি সঙ্ঘ। মঙ্গলবার বিকেলে বাঁকুড়ার ডিএসএ স্টেডিয়ামে এই জোনের ফাইনালে জাপট এলাকার ক্লাবটি ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জাগৃতি সঙ্ঘকে। এই জোন ফাইনালে জয়ের সুবাদে প্রতিযোহিতার সেমিফাইনাল পর্বে গেল দীপালি সঙ্ঘ। রাজ্যের ১৯টি জেলার ৩৮টি দলকে নিয়ে শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর, বাঁকুড়া ও মালদহএই চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে দলগুলিকে। বাঁকুড়া জোনে বর্ধমান জেলা থেকে দীপালি সঙ্ঘ ছাড়াও ছিল আসানসোলের ডিএসএ ইস্টার্ন রেলওয়ে ক্লাব। তবে তারা প্রথম ম্যাচেই হুগলির চন্দননগর রবীন্দ্র স্মৃতি সঙ্ঘের কাছে হেরে যায়। দীপালি সঙ্ঘ প্রথম খেলায় হাওড়ার স্বামীজি স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩-২ গোলে হারায়। পরে মেদিনীপুরের সুভাষ কর্নার ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা। এ দিন ফাইনালে গোল দু’টি করেন শ্রীকান্ত কোঁড়া ও দীপায়ন সামন্ত। ক্লাব সূত্রে জানা যায়, ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার মহামেডান মাঠে সেমিফাইনালে তারা হাওড়ার দাসনগর যুব সঙ্ঘের সঙ্গে খেলবে।

আর্মস্ট্রংয়ের বার্তা যুবরাজকে
যুবরাজের টুইট করা সেই ছবি।
অবশেষে এল সেই বার্তা। যুবরাজ সিংহের আরোগ্য কামনা করে শুভেচ্ছা জানালেন ল্যান্স আর্মস্ট্রং। যা পেয়ে রীতিমতো অভিভূত যুবরাজ সেই বার্তার ছবি টুইট করেছেন। আর্মস্ট্রং লিখেছেন, “আমি তোমাকে জানাতে চাই পুরো লিভস্ট্রং দল তোমার সঙ্গে আছে। গো যুবি!! লিভস্ট্রং।” প্রসঙ্গত, আর্মস্ট্রংয়ের ফাউন্ডেশনের নাম লিভস্ট্রং। এর পর যুবরাজ টুইট করেছেন, “আর্মস্ট্রংয়ের বার্তা পেয়ে খুব ভাল লাগছে। ধন্যবাদ, ল্যান্স। এটা আমার কাছে অনেক...আশা করব দেখা হবে।” এ দিকে, ক্যানসার সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য যুবরাজকে শুভেচ্ছা জানালেন কপিল দেবও। “যুবরাজের জন্য আমার শুভেচ্ছা আর প্রার্থনা রইল,” বলে বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক যোগ করেছেন, “যুবরাজ দুর্দান্ত ক্রিকেটার। জাতীয় ক্রিকেটের প্রতি ওর প্রচুর অবদান রয়েছে। আশা করব যুবরাজ তাড়াতাড়ি সেরে উঠে জাতীয় দলে ফিরে আসবে।”

বোর্ড-সহারা জট ছাড়াতে ডাক মনোহরকেও
সহারা বনাম ভারতীয় বোর্ড লড়াই চলছেই। সোমবার বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটি সহারার কিছু দাবি নাকচ করে দেওয়ার পরে মঙ্গলবার নতুন করে আলোচনায় বসেন সহারা এবং বোর্ড কর্তারা। সবচেয়ে তাৎপর্যের, বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসনের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শশাঙ্ক মনোহর। আইপিএলে যখন পুণে ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনে সহারা, তখন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ছিলেন মনোহর। গত বারের আইপিএলে কিছু বিষয় নিয়ে দুই নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি কোচি এবং পুণে আপত্তি তুললে মনোহরই তার মিটমাট করেছিলেন। এ দিকে, বোর্ড সচিব সঞ্জয় জাগদালে জানিয়েছেন, পুণে ওয়ারিয়র্স শেষ পর্যন্ত আইপিএলে না খেললে টুর্নামেন্ট কী ভাবে হবে সেই সিদ্ধান্ত আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল নেবে।

মহেশদের কাছে ডেম্পো ফেভারিট নয়
শুধু ডেম্পো নয়, আই লিগের সমান দাবিদার ৩০ পয়েন্টের বেশি পাওয়া সব দল। আজ দিল্লিতে এআইএফএফের সংবর্ধনা সভায় বললেন ডেম্পোর দুই সিনিয়র মহেশ গাউলি ও ক্লাইম্যাক্স লরেন্স। জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া দুই তারকা বললেন, “ডেম্পোকে এখনই চ্যাম্পিয়ন ধরা ঠিক নয়। ৬ পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও আমাদের কিছু কঠিন ম্যাচ খেলতে হবে।”

আজ আর্সেনালের সামনে মিলান
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে বুধবার মাঝরাতে এসি মিলান মুখোমুখি আর্সেনালের। যা হয়তো থিয়েরি অঁরির আর্সেনাল জার্সিতে শেষ ম্যাচ হতে চলেছে। মিলান অবশ্য চোটের জন্য পাচ্ছে না আলেসান্দ্রো নেস্তা এবং পাতোকে। গত তিন বারই মিলান শেষ ষোলো থেকে ছিটকে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের তিন ক্লাবের কাছে হেরে। প্রতিবারই ঘরের মাঠে। যা শুরু হয়েছিল ২০০৭-০৮ সালে আর্সেনালের কাছে হেরেই। এ বার মিলান সেই ধারা পাল্টাতে চায়।

মহমেডানের ড্র
দ্বিতীয় ডিভিশন আই-লিগে সিমলা ইয়ংসের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করল মহমেডান। অমৃক পাল সিংহ ও হাসানের গোলে। মহমেডানের ১-২ পিছনোর পেনাল্টিটি ছিল অন্যায্য। পাঁচ ম্যাচের পর মহমেডান ও শিলংয়ের লাঙ্গসনিঙ্গ ১৩ পয়েন্টে যুগ্মভাবে শীর্ষে। কটকে কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ ১-২ হারল সেসার কাছে।

হারল কলকাতা
সাপুরজি পানুরজি আন্তঃকোম্পানি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল জামসেদপুর। আসানসোল স্টেডিয়ামে তারা ফাইনালে কলকাতাকে ২৩ রানে হারায়। প্রথমে ব্যাট করে জামসেদপুর ৮ উইকেটে ১০৮ রান তোলে। জবাবে কলকাতা ৫ উইকেটে ৮৫ রান করে। ম্যাচ পরিচালনা করেন রূপেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কমল সিংহ।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.