নাটকীয় ভাবে সুভাষ ভৌমিক আবার ফিরে আসছেন আই লিগে।
এ বার চার্চিল ব্রাদার্সের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে। সঙ্গে কোচ হিসেবে থাকতে পারেন ব্রাজিলিয়ান কোচ কার্লোস পাহিরা।
পর্তুগালের কোচ ম্যানুয়েল গোমসের সঙ্গে ঝামেলার পরে চার্চিল আলেমাও কোচ খুঁজছিলেন। সুভাষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন কর্তারা। তাঁর এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স নেই বলে আরও তিন কোচের সঙ্গে কথা বলেন চার্চিল কর্তারা। সুভাষকে চান টিডি হিসেবে। তিন জনের মধ্যে কার্লোসকে বেছে নেন সুভাষ। আপনার সঙ্গে কার্লোসের কাজ করতে সমস্যা হবে না? সুভাষ গোয়া যাচ্ছেন আজ, বুধবার। বললেন, “আমার সঙ্গে কার্লোসের কথা হয়ে গিয়েছে। কোনও সমস্যা হবে না। তবে চার্চিলের সঙ্গে কথা বললে ছবিটা পরিষ্কার হবে। ওঁরা অবশ্য খুব আন্তরিক।”
সুভাষ যাঁকে সাম্প্রতিক ভারতীয় ফুটবলের সেরা মনে করেন, সেই বেটোর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন তিনি। বলেন, “আগে গোয়ায় যাই। কী কথা হয় দেখি। তারপরে এ নিয়ে কথা বলব। তবে বেটো কেন, গৌরমাঙ্গি, ডেঞ্জিল, চার্চিলের অনেকের সঙ্গেই আমার ভাল সম্পর্ক।” সুভাষের সঙ্গে ভাগ্য খুলে গেল কার্লোসেরও। সাদার্ন সমিতি তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরে কার্লোস ব্রাজিলেই ফিরে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই এল গোয়ার ডাক।
চার্চিল এখন আই লিগে ছয় নম্বরে। তবে সবার তুলনায় একটি ম্যাচ কম খেলে। তাদের সঙ্গে দুই নম্বর মোহনবাগানের ফারাক ৩ পয়েন্টের। এখনও চার্চিলের সঙ্গে নামী দলগুলোর মধ্যে খেলা বাকি ডেম্পো, ইস্টবেঙ্গলের।
সুভাষ ভৌমিকের প্রত্যাবর্তনকে কী ভাবে দেখছেন তাঁর সমসাময়িক, বর্তমান প্রতিপক্ষ সুব্রত ভট্টাচার্য? মোহনবাগান টিডি বললেন, “খুব ভাল খবর। ওর যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে। বাংলার কোচ বাইরে ডাক পাচ্ছেন, খুব ভাল ব্যাপার। প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমবে।” তার পরে হাসতে হাসতে, “আমার সঙ্গে চার্চিলের দুটো খেলাই হয়ে গিয়েছে। আমার আর ওঁকে নিয়ে ভাবতে হবে না।” সুভাষ ঠিক করেননি, কবে থেকে প্র্যাক্টিসে নামবেন। সুব্রত কিন্তু কলকাতায় থাকা জুনিয়রদের নিয়ে প্র্যাক্টিস করাচ্ছেন প্রতিদিন। তাঁর সিনিয়ররা ছুটিতে গেলেও সুব্রতর ছুটি নেই। ইস্টবেঙ্গল কোচ মর্গ্যান অবশ্য পুরো দলকে ছুটি দিয়ে নিজেই ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছেন। এডমিলসন, অ্যালভিটোরা প্র্যাক্টিস করছেন নিজেদের উদ্যোগে। |