পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় থেকে ঢোকা হাতির একটি দল তাণ্ডব চালাল বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়। সোমবার রাতে লালগড় সীমানা ঘেঁষা সারেঙ্গা থানার মাজুরিয়া গ্রামে ৬০টির বেশি হাতি ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এই ঘটনায় রাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে লালগড়ের সীমানা লাগোয়া গ্রামগুলিতে। গ্রামবাসীদের দাবি, হাতির তাণ্ডবে ১০-১২টি মাটির বাড়ি ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে শ’খানেক বিঘা জমির ফসল।
বনদফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে লালগড়ের কাঁটাপাহাড়ি বিটের জঙ্গল থেকে হাতির দলটি ধানঘোরি, পাপুড়িয়া, বাগমারি পেরিয়ে সারেঙ্গায় মাজুরিয়া গ্রামে ঢুকে হামলা চালায়। |
হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি। ছবি: উমাকান্ত ধর। |
ওই গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ দুলে, রবি দুলে, নরসিংহ দুলে, বাসুদেব ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর করে তারা। গ্রামবাসী মধু পাত্র, সুকুমার দুলে-রা বলেন, “রাত ১২টা নাগাদ গ্রামে হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে আমরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ি। মশাল জ্বেলে, পটকা ফাটিয়ে হাতিগুলো তাড়িয়ে দিই। কিন্তু তার আগেই ওরা আমাদের মাটির বাড়ি ভেঙে ধুলিসাৎ করে দেয়।” হামলা চালানোর পর হাতির দলটি লালগড়ের জঙ্গলে গা-ঢাকা দেয়। বাঁকুড়ার ডিএফও (দক্ষিণ) সুধীর দাস বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” এ দিকে ডিএফও গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগ থেকে ২৩টি হাতির একটি দল সোমবার রাতে সিমলাপালের বড়িচা বিটে ঢুকেছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ওই হাতির দলটিকে বড়িচার জঙ্গলে দেখা গিয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন। |