হাওড়ার হুগলি ডকে জাহাজ সারানোর ভাসমান জেটি উল্টে গিয়েছিল শনিবার। কিন্তু চার দিনেও সেই জেটি থেকে তেল পড়া বন্ধ করা যায়নি। মঙ্গলবারেও ক্রমাগত তেল পড়তে থাকে গঙ্গায়। জোয়ার ও ভাটায় গঙ্গায় সেই তেল ছড়িয়ে পড়েছে। ওই জেটির কাছেও অনেকটা জায়গা জুড়ে তেল ভাসছে। এ দিন দুপুরে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গঙ্গাদূষণ রোধে কিছু নির্দেশ দেন। কিন্তু রাত পর্যন্ত সেই নির্দেশ রূপায়ণ করতে পারেননি হুগলি ডক-কর্তৃপক্ষ। কলকাতা বন্দর-কর্তৃপক্ষের তরফেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয়কান্তি দত্ত বলেন, “গঙ্গায় তেলের একটা পাতলা আস্তরণ রয়েছে। আমরা বলেছি, ওই তেল যাতে বেশি ছড়াতে না-পারে, সেই জন্য রবার পাইপে তুলো জড়িয়ে তা জলে ভাসিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে দিতে হবে। ওই তুলো খানিকটা তেল শুষেও নেবে।” কিন্তু নদী-বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র আগেই জানান, জোয়ার বা ভাটার সময় ওই তেলের আস্তরণ এক জায়গায় থাকবে না। ঢেউয়ে ঢেউয়ে তা বহু দূর পর্যন্ত চলে যাবে। তেল পড়া ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? হুগলি ডকের জেনারেল ম্যানেজার সহদেব সাহা জানান, জাহাজ মেরামতির ওই জেটির উপরে ১৬টি ওয়েল্ডিং মেশিন ছিল। তার মধ্যে ১৪টিকে ক্রেন দিয়ে তুলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেটিতে ১০টি ট্রান্সফর্মার ছিল। তার মধ্যে আটটি সরানো গেলেও দু’টি জলে পড়েই আছে। সেই দু’টি ট্রান্সফর্মার উদ্ধারের কাছ চলছে। তাঁর দাবি, খুব বেশি তেল জলে পড়েনি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে-নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা সেটা যথাসম্ভব দ্রুত রূপায়ণ করার চেষ্টা করছেন বলে সহদেববাবু জানিয়ে দিয়েছেন।
|
শহরের ঐতিহ্যশালী চালধোয়ানি পুকুর সংস্কারের দাবিতে রামপুরহাট পুরসভায় মঙ্গলবার স্মারকলিপি দিলেন ১১, ১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। পুকুরের যে পচা জলে এলাকায় দুর্গন্ধ ও দূষণ ছড়াচ্ছে, স্মারকলিপি দেওয়ার সময় তার নমুনাও পুরপ্রধানকে দেখান বাসিন্দারা। ওই পুকুর সংস্কারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে শহরের ব্যস্ত একটি রাস্তায় বাঁশ বেঁধে অবরোধ শুরু করেছিলেন বাসিন্দারায় যে রাস্তায় অবরোধ হয়, তার উপর দিয়ে সাধারণ মানুষকে রামপুরহাট স্টেশন ও হাসপাতাল, হাইরোডে যাতায়াত করেন। দু’দিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি অবরুদ্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন বহু মানুষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দু’দিন ধরে অবরোধ থাকলেও পুরপ্রধান বা উপ-পুরপ্রধান এলাকায় যাননি। অথচ পুকুর সংস্কারের দাবিতে তাঁদের কাছে একাধিকবার দরবার করা হয়েছে। দু’দিন অপেক্ষা করার পরে এলাকাবাসী সোমবার সন্ধ্যায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ দিন আন্দোলনকারীরা পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। তাঁরা জানিয়েছেন, চালধোয়ানি পুকুরের পচা জল পুরোপুরি তুলে ফেলার আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পুকুরের পাঁক তোলা ও পাড় বাঁধানোর দাবিও করা হয়েছে। এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুরপ্রধানের আলোচনা হয়। পরে পুরপ্রধান, তৃণমূলের নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুকুর সংস্কারের ব্যাপারে আমরা এলাকাবাসীর কাছে পাঁচ দিন সময় চেয়েছি। এর মধ্যে আমি পুকুর সংস্কারের আইনগত দিকটি খতিয়ে দেখব।”
|
গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে মৃত্যু হল একটি চিতাবাঘ শাবকের। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ারে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্ট লাগোয়া এলাকায়। মৃত শাবকটির বয়স সাত মাস। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা বিজয়কুমার শালিমাত জানান, মায়ের সঙ্গে শাবকটি রাস্তা পার হওয়ার সময়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। জয়ন্তীগামী কোনও গাড়ির ধাক্কায় শাবকটি মারা গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। গাড়িটি শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। |