দরজা আটকে কয়েক দিন ধরে ঘরের ভিতরে ‘স্বেচ্ছা-বন্দি’ ছিলেন বাবা-মা ও ছেলে। পুলিশ দরজা ভেঙে উদ্ধার করতে গেলে তাঁরা গলায় বিষ ঢালেন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে গোঘাটের নলডুবি গ্রামে। তিন জনকে কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের কর্তা অজিত মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা মণ্ডল ও তাঁদের ছেলে গণেশ মণ্ডল আপাতত বিপন্মুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে ওই অজিতবাবুদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, নলডুবি গ্রামের দাসপাড়ার ওই পরিবারের ছেলের স্থানীয় একটি গ্রামে বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়ে যাওয়ার পরেও ছেলে পক্ষের এক আত্মীয় বিয়ে বাতিল করে দেয়। অভিযোগ, মেয়ের বাড়ির লোকজন ও তাঁদের পড়শিরা ছেলে পক্ষকে বিয়ে ভাঙায় হুমকি দেন। আর সেই আতঙ্কেই তাঁরা বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন না। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দিন কুড়ি ধরে ওই পরিবারের তিন জনের আচরণ অস্বাভাবিক লাগছিল। বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন না। দিন পাঁচেক ধরে তাঁরা ঘর থেকেও বের হচ্ছিলেন না। এ দিন সকালে তাঁদের ডেকেও সাড়া না পেয়ে পড়শিদের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশ ডাকেন। তবে তাঁদের কেউ হুমকি দিয়েছিলেন কি না তা বাসিন্দারা জানাতে পারেননি।
|
সহায়কমূল্যে যথাযথ ভাবে চাষিদের থেকে ধান কেনার দাবি তুলে মঙ্গলবার কয়েকশো কৃষক পোলবা-দাদপুর ব্লকের বিডিও বাসব দত্তা গুপ্তাকে ঘেরাও করেন। এ দিন বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিল সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে চাষিরা আশ্বাস পেলে ফিরে যান। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ধান কেনা নিয়ে কিছু সমস্যা নিশ্চিয় আছে। কিন্তু ধান কেনা একেবারে হচ্ছে না। তা কিন্তু ঠিক নয়।” বিক্ষোভকারীদের অবশ্য দাবি, মিল মালিকেরা সহায়কমূল্যে ধান কিনছে না। কিছু ক্ষেত্রে কেনা হলেও ওজন নিয়ে কোনও নিয়ম মানছেন তারা। গ্রামে গ্রামে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে চূড়ান্ত অনিয়ম হচ্ছে। লিবারেশনের কৃষি মজুর সমিতির রাজ্য সম্পাদক সজল অধিকারী বলেন, “দুনীর্তি বন্ধে প্রাশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
|
স্কুলে মোট শিক্ষক সংখ্যা ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে মঙ্গলবার একই সঙ্গে গরহাজির আট জন। যার জেরে বিক্ষোভ ছড়ায় গোঘাটের বাজুয়া হাইস্কুলে। স্কুল সূত্রের খবর, প্রধান শিক্ষক শিবপ্রসাদ দত্ত এ দিন স্কুলে এসে দেখেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং আরও সাত শিক্ষক আসবেন না বলে ‘নোট’ লেখা রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, এ রকম ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। এ দিন একাদশ শ্রেণির মাত্র দু’টি পিরিয়ড হয়েছে। পঞ্চম থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোনও ইংরেজি ক্লাস হয়নি। অন্যান্য বিষয়েও বেশ কিছু ক্লাস বাদ গিয়েছে। বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আরামবাগ বিভাগের অতিরিক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শক আশিসবরণ সামন্তরেও দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা। আশিসবরণবাবু জানান, ছাত্রছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।
|
মুণ্ডেশ্বরী নদীর চর থেকে উদ্ধার হল এক তৃণমূল কর্মীর দেহ। মঙ্গলবার দুপুরে আরামবাগের গোবরা গ্রামে। মৃতের নাম মন্টু দলুই (৩৫)। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ না হলেও মন্টুর দাদা রঘুনাথ জানান, কিছু দিন আগে দলেরই কয়েকজন তাঁদের পরিবারের তিন মহিলার চুল কেটে নেয়। দলুই পরিবার সোহরাব হোসেন-সহ কয়েক জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ করে। মামলা তোলার জন্য তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাসুদেব মালিকের বক্তব্য, “দলুই পরিবারের সদস্যেরা আমাদের সক্রিয় কর্মী। কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল বলতে পারব না।” সোহরাবের দাবি, “পারিবারিক অশান্তিতে মন্টু আত্মঘাতী হয়েছেন।” মৃতের গলায় সরু দাগ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশও মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্ধে। |