বিশেষ বাক্স। সেই বাক্সের ভিতরে সারা দিন ধরে জমল ভালবাসার নানা মুহূর্তের কথা। রাত নামতে খোলা হল সেই বাক্সের ডালা। জ্যোৎস্নার আলোয় আড্ডা গানে সব কটা চিঠি পড়া হল। প্রতিবারের মতো এবারও ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’-তে বিশ্বভারতীর কলাভবন চত্বরে এই ভালবাসার উৎসব হল। পড়ুয়ারা বিশেষ প্রসঙ্গ তুলে ভাললাগার মানুষটির প্রতি ‘বার্তা’ বিভিন্ন ভাষায় লিখে ওই বাক্সে রেখেছিলেন। চিঠিতে থাকে না কারও নাম-পরিচয়। লেখার মধ্যে নানা ইঙ্গিতে সেই মানুষটির কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। যেমন একটি কাগজে লেখা- “ভূস্বর্গে হারিয়ে গিয়েছি”। কাশ্মীরের কোনও ছেলে বা মেয়েকে উদ্দেশ্য করে একথা কেউ লিখেছে। পড়ুয়াদের দাবি, “এই আড়ালটুকু না থাকলে জমে না।” শুধু সহপাঠীকে উদ্দেশ্য করেই নয়, শিক্ষকদের জন্যেও বিশেষ বাক্সে লেখা জমে। শুধু ‘বিশেষ বাক্স’ই নয়, কলাভবন ক্যান্টিন চত্বরে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে নানা মজাদার পোস্টারও সাঁটা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, এই বিশেষ দিনে শুধু আনন্দ করাই নয়, প্রাদেশিকতার উর্ধ্বে উঠে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা হয়।
|
দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই দাবি করে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা-সহ সভাপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। মঙ্গলবার বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে তিনি দাবি করেন, “দলে মনোমালিন্য রয়েছে। কিন্তু কোনও দ্বন্দ্ব নেই। বিরোধ নেই। একজোট হয়ে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমকে পরাস্ত করব।” সোমবারই নানুরের মোহনপুর মাঠে দলের দুই বিধায়ক গদাধর হাজরা ও শেখ শাহনাহাজ সভা করে হুমকি দিয়েছিলেন, “দলের মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্তদের জায়গা নেই। তাদের বহিষ্কার করতে হবে।” এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। ওই দুই বিধায়ক দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত। অনুব্রতবাবু সে দিন এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এ দিন তাঁর ঘনিষ্ঠ বিকাশবাবু বলেন, “দলের মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্তদের কোনও জায়গা নেই। আমরা দুর্নীতি বরদাস্ত করব না।” বস্তুত তৃণমূলের জেলা সম্মেলন সামনের রবিবার। তার আগে দলের দুই বিধায়ক এ ভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে যান তৃণমূলের নেতৃত্বের একাংশ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সাংবাদিক বৈঠক বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বিকাশবাবু বলেন, “শুক্রবারের মধ্যে ব্লক সম্মেলনগুলি শেষ হচ্ছে। রবিবার বোলপুরের ডাকবাংলো মোড়ে জেলা সম্মেলন হবে।”
|
মাঠ থেকে এক গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাট থানার চামড়াগুদাম ও দানগ্রামের মাঝে ধান জমিতে পড়েছিল যুবকটির দেহ। নিহতের নাম আব্দুল আলিম (২৯) ওরফে আলো। বাড়ি রামপুরহাটের বনহাট গ্রামে। আলোর পেটে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এ দিন রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের সময় তাঁর দেহ থেকে একটি গুলি বের করা হয়। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় নিহত যুবকের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তাঁদের এক জন বনহাট গ্রামেরই বাসিন্দা। আটক অন্য যুবকের বাড়ি রামপুরহাট শহরের চালধোয়ানিপাড়ায়। গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা ছিল আলোর। তাঁর বাবা আব্দুল আমিন বলেন, “সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পরে ছেলেকে ফোন করে কেউ ডাকলে বেরিয়ে যায়। রাত ৮টার পর থেকে ছেলের ফোনে যোগাযোগ করতে পারিনি। এ দিন ওর দেহ উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা কেন ওকে খুন করল, বুঝতে পারছি না।”
|
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। মৃতার নাম সোনালী দাস (২৫)। বাড়ি মাড়গ্রাম থানার বামদেবপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি মারাত্মক জখম অবস্থায় ওই বধূকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। |