অবশেষে আলোচনার মাধ্যমে মিড-ডে মিল সংক্রান্ত সমস্যা মিটল দুবরাজপুরের কুমারশীর্ষা মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে। মঙ্গলবার থেকে মিড-ডে মিল চালু হওয়ায় খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবক সকলেই। পদুমা পঞ্চায়েতের প্রধান শিউলি ডোম বলেন, “আগের সিদ্ধান্তের কথা স্বনির্ভর দলগুলিকে ডেকে জানানো হয়নি বলে সমস্যা তৈরি হয়। তবে তা মিটে গিয়েছে।”
কে রান্না করবে, এই নিয়ে কাজিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে রান্না বন্ধ ছিল কুমারশীর্ষা মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের। প্রশাসন, পঞ্চায়েত, স্কুল পরিচালন সমিতি, অভিভাবকেরা মিলিত ভাবে একটা সমাধান সূত্র বের করার পরেও সোমবার রান্না করতে বাধা দেন স্বনির্ভর দলের কিছু সদস্য। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রান্নার দায়িত্বে তাঁদের রাখা হল কি না, স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। ২০০৬ সালে এই স্কুলে প্রথম মিড-ডে মিল চালু হওয়ার সময়ে রান্না করতে রাজি ছিলেন না স্বনির্ভর দলের সদস্যরা। পরে দু’টি স্বনির্ভর দল রাজি হয়েও, মাস দু’তিন পরে তারাও অনিচ্ছার কথা জানিয়ে দেয়। এর পরে স্কুলের পাশে দুই মহিলা উত্তরা বাগদি ও কবিতা বাগদির উপরে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১০ সালে ব্লক থেকে নির্দেশ আসে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের হাতে রান্নার দায়িত্ব দিতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন রান্নার দায়িত্ব সামলে আসা উত্তরা বাগদি ও কবিতা বাগদিরা সেই প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। শেষ অবধি দিন কয়েক আগে সব পক্ষকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, স্বনির্ভর দল সাত মাস এবং বাকি তিন মাস রান্না করতে পারবেন ওই দুই মহিলা। এই সিদ্ধান্তের কথা স্বনির্ভর দলকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। তবে দেড় বছর পরে মঙ্গলবার থেকে মিড-ডে মিল চালু হওয়ায় সকলে খুশি। স্কুলের শিক্ষক প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, “সমস্যা মিটে যাওয়ায় আমরা খুশি।” স্বনির্ভর দলের সদস্য জ্যোৎস্না বাগদি, আশালতা বাগদি বলেন, “রান্না করার সুযোগ পেয়েছি জানলে বাধা দিতাম না।” |