অধ্যক্ষকে ‘মানসিক নির্যাতন’ ও ‘নিগ্রহ’-এর ঘটনার সবে এক মাস গড়িয়েছে। ফের রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। আন্দোলনে ছিলেন সেই সব ছাত্রও, যাঁরা মাসখানেক আগে ওই কলেজের অধ্যক্ষকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত। যাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ কেন জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল, সেই নিয়ে বিতর্কও হয়েছে।
এ দিন দুপুরে কলেজের মূল গেটের বাইরে ঘণ্টাখানেক অবস্থান-বিক্ষোভ করেন টিএমসিপি সদস্য-সমর্থকেরা। অবশ্য কলেজে অধ্যক্ষ ছিলেন না। পরে টিএমসিপি-র তরফে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বিভিন্ন দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। টিএমসিপি-র অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে ‘ঠিকমতো’ ব্যবহার করছেন না। টিএমসিপি-র কেউ তাঁর কাছে কোনও কাজ নিয়ে গেলে তিনি ‘গুরুত্ব’ দিচ্ছেন না। আরও দাবি, এ দিন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের দাবিদাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে অধ্যক্ষকে আগাম জানানো হয়েছিল। তবু তিনি কলেজে ছিলেন না।
১১ জানুয়ারি কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মানসিক নির্যাতন’ ও ‘হেনস্থা’র অভিযোগ উঠেছিল কলেজেরই কিছু টিএমসিপি সদস্য-সমর্থক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের অন্যতম অমিত ঘোষালের অভিযোগ, “অধ্যক্ষ আমাদের কথা দিয়েও এ দিন কলেজে আসেননি। এখন ছাত্রছাত্রীদের টেস্ট চলছে। অধ্যক্ষই নেই!” টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিটের সভাপতি সুমন মণ্ডল বলেন, “টেস্ট চলছে। তাই আমরা গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। পরীক্ষার পরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি, যাতে কারও সমস্যা না হয়।” তবে ঘটনা হল, এ দিন অধ্যক্ষের ঘরেই স্মারকলিপি দেওয়ার সময় কিছু টিএমসিপি সদস্য অধ্যক্ষকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে স্লোগান দেন। তাঁদের দাবি, এনএসএস প্রকল্পে ৭২ হাজার টাকার হিসাব নেই। ছাত্রী হস্টেলের জন্য বরাদ্দ টাকা কাজে লাগানো হচ্ছে না। দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ টাকা তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। এ দিন কলেজের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্তঅধ্যক্ষ আশিস পাল বলেন, “দাবিগুলি অধ্যক্ষকে জানানো হবে।” অধ্যক্ষর মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |