রাজ্য সরকারি সংস্থা দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল)-র ছোট ভাড়া গাড়ির চালকদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে সংস্থার অবস্থান জানতে চেয়ে ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে চিঠি দিল শ্রম দফতর। ২০ ফেব্রুয়ারি সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে শ্রম দফতরের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিত বিবৃতি জমা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি শ্রম দফতরে লিখিত অভিযোগে ডিপিএলের ছোট ভাড়া গাড়ির এমন ৪৫ জন চালক জানিয়েছিলেন, তাঁরা শ্রম দফতর নির্ধারিত নূন্যতম মজুরি পান না। মেলে না পিএফ, ইএসআইয়ের সুবিধা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ‘প্রিন্সিপ্যাল এমপ্লয়ার’ হিসাবে ডিপিএল সঠিক ভূমিকা পালন করছে না। চালকদের পক্ষে ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন, নূন্যতম মজুরি তাঁরা পান না। চালু করা হয়নি পিএফ এবং ইএসআই। ঠিকাদার সংস্থা বা ‘প্রিন্সিপ্যাল এমপ্লয়ার’ ডিপিএল কেউ কোনও পদক্ষেপ করে না। ডিপিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মৃগাঙ্ক মজুমদার অবশ্য চালকদের সমস্যার ব্যাপারে কোনও দায় নিতে চাননি। তিনি জানান, গাড়ির মালিকরাই বিষয়টি দেখবেন।
চালকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এ ব্যাপারে ডিপিএলের অবস্থান জানতে চেয়ে ডিপিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে চিঠি পাঠিয়েছেন দুর্গাপুরের সহকারী শ্রম কমিশনার দিলীপকুমার পাল। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি ম্যানেজিং ডিরেক্টর যেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও আধিকারিককে লিখিত বিবৃতি-সহ শ্রম দফতরে পাঠান। শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই একই সময়ে চালকদেরও উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে দফতরে আসার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টির নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ হবে সে দিনই।
এ দিকে অবিলম্বে পরিস্থিতির সুরাহা না হলে গাড়ি চালকরা ২১ ফেব্রুয়ারি গাড়ি বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন। গাড়ি মালিকদের সংগঠন ভেহিক্যাল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডিপিএল ইউনিটের যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্তকুমার রায়ের অভিযোগ, “আমাদের কিছু না জানিয়েই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চালকেরা। এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য হয়েছে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। এ বার সেই সুযোগ দেওয়া হল না।” |