ভাওয়াইয়া উৎসবে শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে ক্ষোভ-অভিযোগ দানা বাঁধলেও কোনও দলতন্ত্র হয়নি বলে দাবি করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা প্রামাণিক হাই স্কুলের মাঠে চারদিন ব্যাপী রাজ্য ভাওয়াইয়া উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে জেলার বাম বিধায়করা তো বটেই, উত্তরবঙ্গের কংগ্রেসের বিধায়করা কেউ ছিলেন না। সিপিএমের দখলে থাকা কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে দেখা যায়নি। তার জেরেই নানা মহলে দলতন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। উদ্বোধন করতে গিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, “দলতন্ত্রের ব্যাপার নেই। সকলকেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এলে যথাযোগ্য সন্মান দিয়ে তাঁদের মঞ্চে বসানো হতো।” |
ভাওয়াউয়া উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার ছবি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
জলপাইগুড়ির কংগ্রেস বিধায়ক খ্যাতনামা ভাওয়াইয়া শিল্পী সুখবিলাস বর্মা উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাননি বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমাকে উদ্যোক্তারা উদ্বোধনের দিন যেতে বলেননি। শুধু গান গাইবার জন্য বলা হয়েছে। সুব্রতবাবু সঠিক কথা বলেননি।” পাশাপাশি, কোচবিহারের ফরওয়ার্ড বিধায়ক অক্ষয় ঠাকুর জানান, তিনি কোনও আমন্ত্রণপত্র পাননি। তাঁর অভিযোগ, “সব কিছুতেই চরম দলতন্ত্র। এর আগে আমার বিধানসভায় বইমেলা হয়। সেখানেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ভাওয়াইয়া উৎসবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মানা হয়নি।” কোচবিহারের সিপিএম নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাসও ক্ষুব্ধ। সভাধিপতি বলেন, “পদমর্যাদার নিরিখে সভাধিপতিকে কী ভাবে ডাকতে হয় তা জেনেও উদ্যোক্তারা স্রেফ একটি চিঠি পাঠান। এটা দুর্ভাজ্যনক। অগণতান্ত্রিক।” এদিন মঞ্চে অবশ্য তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অনিল অধিকারী, খগেশ্বর রায় উপস্থিত ছিলেন। চারদিন ব্যাপী ওই উৎসবে শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। |