বেসরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থার মালপত্র ওঠানো নামানোর কাজে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ জন যুবকের কাছ থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, এক সময়ে নিজেরই এক আত্মীয়ের সঙ্গে ওই যুবক বেসরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থায় মালপত্র ওঠানো নামানোর কাজ করতেন। ওই সংস্থার নামে করেই বাগডোগরার হাঁসখোয়া এলাকার যুবকদের কাছ থেকে ৩০ হাজার, ৪০ হাজার টাকা করে প্রায় ৬ লক্ষ চাকা বছর দেড়েক আগে সংগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। চাকরি দেওয়া তো দূরের কথা, এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে তৃণমূলের নকশালবাড়ি ব্লক সভাপতি গৌতম কীর্তনীয়া বাগডোগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে লাগাতার আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল ব্লক সবাপতি বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমি টাকা ফেরত দেওয়ার পরামর্শ দিই। তার পরে কয়েক মাস কেটে গেলেও টাকা ফেরত দেয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমান বন্দরে আরও নানা বেআইনি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। পুলিশকে সবই খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগডোগরা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার পরেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাগডোগরা এয়ারপোর্টের এক আধিকারিকও জানান, বেসরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থার ওই এজেন্সির সঙ্গে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের কোনও যোগাযোগ নেই। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগেও যে নানা অভিযোগ উঠেছিল সে কথা স্বীকার করেছেন তিনি। প্রতারিত যুবকদের বক্তব্য, এয়ারপোর্টে মালপত্র ওঠানো নামানোর কাজে জড়িত কয়েকজন যুবকের মাধ্যমে ওই দুই ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পরে টাকা আদায় করা হয়। হাঁসখোয়ার বাসিন্দা শেখ শকরুল৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তাঁর বাবা শেখ সুলেমান বলেন, “কত কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে ওই ব্যক্তির হাতে তুলে দিই। তার পরে চাকরিতে নিয়োগের নামগন্ধ নেই দেখে বুঝি প্রতারিত হয়েছি। পরে টাকা ফেরত চেয়ে নানা জায়গায় আবেদন জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেই জন্যই তৃণমূল নেতাদের ধরেছি। আশা করছি, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |