টুকরো খবর |
ভর্তি-জটে অফিসেই তালাবন্দি পরিদর্শক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ছেলেমেয়েরা স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। বারবার স্কুল পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হচ্ছিল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনা স্কুল পরিদর্শককে ভিতরে রেখেই তাঁর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন অভিভাবকেরা। আটকে পড়েন কিছু কর্মীও। রাত ৮টা নাগাদ অফিস থেকে কর্মীদের বার করে আনার জন্য হাজির হয় পুলিশ। অভিযোগ, অভিভাবক ও পড়ুয়াদের উপরে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। তাতে পড়ুয়া, মহিলা-সহ অন্তত ১০ জন জখম হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ অবশ্য লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “ছাত্র ভর্তির সমস্যা নিয়ে বৈঠক করে সমাধানসূত্র বার করা হয়েছে। তবু রাত পর্যন্ত কর্মীদের আটকে রাখায় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। লাঠি চালানো হয়নি। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” অভিভাবকদের অভিযোগ, বারাসত, মধ্যমগ্রামের স্কুলগুলিতে লটারির পরেও অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বারবার স্কুল পরিদর্শকের দ্বারস্থ হন। স্কুল পরিদর্শক তালিকা করে বিভিন্ন স্কুলে ভর্তির নির্দেশ দিলেও স্কুলগুলি তা মানেনি। এই নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা না-হওয়ায় বাধ্য হয়েই এ দিন পরিদর্শকের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। জেলা স্কুল পরিদর্শক অমর শীল বলেন, “১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাকি পড়ুয়াদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিভাবকদের এমন কিছু দাবি ছিল, যা অবান্তর। তাঁরা বিকেল ৪টে থেকে আমাদের আটকে রাখেন। অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকও অফিসে ছিলেন। পুলিশ এসে অভিভাবকদের সরিয়ে তালা খুলে দেয়।”
|
ভোটাভুটিতে সামিল হতে এসে গ্রেফতার উপপ্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হিঙ্গলগঞ্জ |
প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার উপরে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে এসে বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপির বিষ্ণুপদ বৈদ্য। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে এলাকায় একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর খোঁজে এত দিন তল্লাশি চলছিল। এই ঘটনায় অবশ্য ভোটাভুটি বিঘ্নিত হয়নি। পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলদুলি পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৃণমূল ৬টি, সিপিএম ৪টি, বিজেপি ৩টি এবং সিপিআই ২টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপির সঙ্গে জোট করে প্রধান হন তৃণমূলের অর্চনা মৃধা। একটি ধর্ষণের মামলায় জড়িয়ে পড়ায় সম্প্রতি পঞ্চায়েতের এক সিপিআই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি হাজতবাস করছেন। সম্পরতি অর্চনাদেবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনে বামেরা। তাদের সমর্থন করে বিজেপি। বৃহস্পতিবার ছিল সেই ভোটাভুটির দিন। ৮-০ ভোটে হেরে যান অর্চনাদেবী। তবে, অর্চনাদেবী-সহ তৃণমূলের সদস্যেরা কেউ ভোটাভুটিতে সামিল হননি। পুলিশ গ্রেফতার করার আগেই বিষ্ণুপদবাবুর ভোট দেওয়া হয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে অর্চনাদেবী বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করার জন্য অনাস্থা আনা হয়।” বিজেপি-র দাবি, পঞ্চায়েতের কাজে স্বচ্ছতা আনতে পালা বদল ঘটানো হল। |
মদের দোকান ভাঙায় চাঞ্চল্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খড়দহের বড়বাগানে বৃহস্পতিবার একটি বিলিতি মদের দোকান ভাঙাকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নান্টু হালদার নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সোমবার দোকানটি চালু হওয়ার সময় থেকেই আপত্তি জানাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। সে-রাতে দোকানের লাগোয়া বাড়ির মালিক এতোয়া ওরাওঁ, তাঁর স্ত্রী স্বপ্না এবং তাঁদের পরিবারের অন্যদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দোকানের দুই মালিকও নিগৃহীত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অসংখ্য মদের দোকান থাকায় দুষ্কৃতীদের অবাধ আনাগোনা। তার পরেও নতুন মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সদর) কল্লোল গনাই বলেন, “ওখানে মদের দোকান খোলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল কমিশনারেট হওয়ার আগেই। তবে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।”
|
বাগদায় ব্যক্তির অপমৃত্যু নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল দ্বন্দ্বে উত্তেজনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা |
এক ব্যক্তির অপমৃত্যুকে কেন্দ্র করে ‘রাজনীতি’র অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার পশ্চিম কাশীপুর গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দা সাধন দাস গত ২৮ জানুয়ারি মারা যান। এ দিন ওই ব্যক্তিকে খেতমজুর দাবি করে বাড়িতে সাহায্য দিতে যান প্রদেশ কিষান খেতমজুর কংগ্রেস কমিটির চেয়ারম্যান দেবাশিস দত্ত-সহ ১৫ জনের একটি দল। অভিযোগ, সে সময়ে দলটিকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দেবাশিসবাবুকে মারধর করার হুমকি দেওয়া হয়। প্রায় আধঘণ্টা পরে গ্রামবাসী এবং বিএসএফের সাহায্য নিয়ে বেরিয়ে আসে ওই দলটি। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মৃত ব্যক্তির কোনও কৃষিজমি ছিল না। তিনি চাষি নন। কংগ্রেস রাজনৈতিক ভাবে বিষয়টি দেখছিল বলে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে কংগ্রেস।
|
বাবাকে খুনের অভিযোগ, ছেলে গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের নাম পাঁচুগোপাল মিত্র (৪৭)। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচুবাবুর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তিনি ঠিকাশ্রমিকের কাজ করতেন। রোজই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অশান্তি করতেন। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় মদ্যপ অবস্থায় পাশেই একটি বিয়েবাড়িতে গেলে তাঁকে নিয়ে ঝামেলা হয়। ছেলে সুখেন তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসেন। বাড়িতে পৌঁছে দু’জনের মধ্যে বচসা বেধে যায়। বচসার মধ্যেই সুখেন আচমকা বাবার মাথায় বাঁশের চটা দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। পুলিশ সুখেনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে।
|
বাবার ভোজালির আঘাতে জখম বড় মেয়েরও মৃত্যু হল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
বাবার হাতে আগেই খুন হয়েছে বোন। বুধবার গভীর রাতে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেল গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হওয়া দিদিও। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাঁখা থানার বগিরুল মোড়ের কাছে একটি ইটভাটায় মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক অশান্তির জেরে দু’ বছরের মেয়ে মানসারা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাবা আবু করিম মোল্লা। তার ভোজালির আঘাতে গুরুতর জখম হয় বড় মেয়ে তৈয়াবা খাতুন ও স্ত্রী আজমিরা বিবি। তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই এ দিন মারা যায় তৈয়াবা। আজমিরা বিবির অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিকে ধৃত আবু করিমকে বৃহস্পতিবার বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
|
ট্রাক-ম্যাটাডরের ধাক্কায় মৃত এক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উস্থি |
ট্রাকের সঙ্গে ম্যাটাডরের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ম্যাটাডরের চালকের। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। তাঁদের ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি-ডায়মন্ড হারবার রোডে উস্থি থানার দেউলা যোগাড়িয়া বাসমোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম অজিত দাস (৪০)। তাঁর বাড়ি সাগরের বাগবাজার গ্রামে। পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে সাড়ে ১০টা নাগাদ রায়দিঘি থেকে আলুর বস্তা-বোঝাই ট্রাক ডায়মন্ড হারবারের দিকে যাচ্ছিল। সে সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা পাথর-বোঝাই ম্যাটাডরটির সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। |
|