ইউরোর ঠিক আগে চূড়ান্ত ডামাডোলের মধ্যে পড়া ইংল্যান্ড ফুটবলকে টেনে তোলার জন্য ডাক পড়েছে টটেনহাম হটস্পারের ম্যানেজার হ্যারি রেডন্যাপের উপর।
তবে তিনি দায়িত্ব নেবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। কারণ, টটেনহাম প্রাথমিক ভাবে রেডন্যাপকে ছাড়ার ব্যাপারে রাজি নয়। তবে ইংল্যান্ড ম্যানেজারের পদ থেকে ফাবিও কাপেলোর সাড়া জাগানো ইস্তফার সিদ্ধান্তের পর ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রেডন্যাপই। ওয়েন রুনি এবং রিও ফার্দিনান্দের পুরো সমর্থন পাচ্ছেন টটেনহাম ম্যানেজার। ইংল্যান্ডের পক্ষে একটাই ভাল খবর হল, আয়কর সংক্রান্ত দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছিল রেডন্যাপের বিরুদ্ধে, তা কাপেলোর ইস্তফা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই খারিজ হয়ে যায়। এখন দেখার টটেনহ্যাম তাদের ম্যানেজারকে ছাড়ার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়। |
শুধু বর্তমান ফুটবলাররাই নন, রেডন্যাপের সমর্থনে মুখ খুলেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলাররাও। যেমন গ্যারি লিনেকার, যেমন পল গাসকোয়েন। ইতালিয়ান কাপেলো সরে যাওয়ার পর লিনেকার সাফ জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের দায়িত্ব কোনও ইংরেজকে দিলেই ভাল হয়। লিনেকার টুইট করেছেন, “আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তা হলে বলব, ইংল্যান্ডের জন্য একজন ইংরেজ কোচই দরকার। প্লেয়াররা ইংরেজ, বসকেও ইংরেজ হতে হবে। ‘এইচ আর’-ই হল ঠিক লোক, যদি ও কাজটা নিতে চায়। মে মাস পর্যন্ত ও দু’টো কাজই সামলাতে পারবে।” গাসকোয়েন আবার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে আদৌ টটেনহাম ছাড়বে কি না রেডন্যাপকে। ইংল্যান্ডের কাগজে ম্যানেজার নিয়ে যা সমীক্ষা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এক নম্বরে রয়েছে রেডন্যাপেরই নাম। অনেক দূরে মোরিনহো। রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব অসন্তুষ্ট মোরিনহো ছেড়ে দেবেন বলে শোনা যাচ্ছিল। এও শোনা যাচ্ছিল, তিনি হয়তো চেলসিতে যাবেন। এ বার ইংল্যান্ডের নামও সেই তালিকায় যুক্ত হল।
ইংল্যান্ড ফুটবলে এখন দুটো প্রশ্ন তোলপাড় তুলেছে। এক, কাপেলোর জায়গায় কে? দুই, কেন কাপেলোর এই সিদ্ধান্ত?
প্রথম প্রশ্নের চূড়ান্ত জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে ভেসে আসছে সদ্য বিতাড়িত ইংল্যান্ড অধিনায়ক জন টেরির নাম।
টেরিকে ইংল্যান্ড অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি কাপেলো। ইতালিয়ান প্রচারমাধ্যমকে কাপেলো জানিয়েছিলেন, এফ এ কর্তারা তাঁর সঙ্গে কোনও কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নেন। এফ এ কর্তাদের সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন কাপেলো। এর পরে এফ এ বোর্ড তাঁকে ডেকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছিল। সেই মিটিংয়ের পর যথেষ্ট অপমানিত বোধ করেন কাপেলো। তবে মনে করা হচ্ছিল, ইউরো পর্যন্ত দায়িত্বে থেকে যাবেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই গতকাল ইস্তফা দিয়ে ইংল্যান্ড ফুটবলকে রীতিমতো সংকটের মুখে ফেলে দিয়ে গেলেন কাপেলো।
এখন দেখার, কী ভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে ল্যাম্পার্ড-রুনিদের দল। |