|
|
|
|
রাজ্যকে দেউলিয়া করেছে তৃণমূল, তোপ বাসুদেবের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। একের পর এক প্রকল্পের কথা ঘোষণা হয়েছে। শিলান্যাস হয়েছে। কিন্তু, তার পর আর কাজ এগোয়নি। বৃহস্পতিবার খড়্গপুর শহরে এসে এ ভাবেই একদা রেলমন্ত্রী, অধুনা মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। তাঁর অভিযোগ, “রেলমন্ত্রী থাকাকালীন উনি রেলকে দেউলিয়া করেছেন। ক্ষমতায় এসে ছ’মাসে এ রাজ্যকেও দেউলিয়া করে দিয়েছেন।” পাশাপাশি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত জ্ঞানেশ্বরীর চালক, সহ-চালক বরখাস্ত হলেও জেনারেল ম্যানেজার, ডিআরএম প্রমুখ পদস্থ কর্তারা কেন শাস্তি পাবেন না, এ দিন সেই প্রশ্নও তুলেছেন সাংসদ। তাঁর কথায়, “রেল লাইন কাটা ছিল। তাতে চালক, সহ চালকের দোষ কোথায়। শুনেছি, ৭৫ কিলোমিটারের বেশি বেগে ট্রেন চলছিল বলেই ওঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু, লাইনই যখন কাটা ছিল, তখন ৭৫ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চললে কী দুর্ঘটনা হত না?” সুরক্ষার দিকে কোনও নজর না-থাকার ফলেই ট্রেন দুর্ঘটনা বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
যৌথ রেলওয়ে হকার ইউনিয়নের এক সভায় যোগ দিতেই এ দিন খড়্গপুরে আসেন বাসুদেববাবু। রেলশহরের বোগদায় ছিল সভা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন ও আইএনটিইউসি দেশ জুড়ে শিল্প-ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘটের সমর্থনেই এই সভা। উপস্থিত ছিলেন সিটু অনুমোদিত রেলওয়ে হকার ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নেপালদেব ভট্টাচার্য-সহ আরও অনেকে। সভা শেষে খড়্গপুরের ডিআরএমের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। সংগঠনগুলির অভিযোগ, আরপিএফ অন্যায় ভাবে রেল হকারদের উপর জুলুম চালাচ্ছে। নানা ভাবে জরিমানা আদায় করছে।
পরে এক প্রশ্নের উত্তরে বাসুদেববাবু বলেন, “রেলওয়ে বোর্ডের অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টেই স্পষ্ট, রেলের আর্থিক পরিস্থিতি চরম সঙ্কটে পৌঁছেছে। অর্থের অভাবে কাজ এগোচ্ছে না।” তাঁর কথায়, “এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজই মুখ থুবড়ে পড়ছে। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। এক বছরে ১১০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছেন শুধুমাত্র নিজের ইমেজ তৈরি করার জন্য। এমন কিছু কমিটি তৈরি করেছেন, যার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। রেলের আয় কমেছে।” ৮৫ হাজার শূন্যপদ পূরণ করার কথা বলা হলেও একটি শূন্যপদও পূরণ হয়নি বলেও বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন সিপিএম সাংসদ। তাঁর কথায়, “শূন্যপদ পূরণের বদলে পদ-সংখ্যা কমানো হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|