|
|
|
|
জয়া-মিত্রতার ‘বলি’ এজি, নয়া বিতর্কে বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে বন্ধুত্বের বার্তা দিতে চায় বিজেপি। আর তার জেরে কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) বি বি আচারিয়াকে ইস্তফা দিতে হয়েছে বলেই অভিযোগ উঠল। ফলে কর্নাটকে অশ্লীল ভিডিও কেলেঙ্কারির রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল বিজেপি।
এনডিএতে যোগ না দিলেও অনেক দিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখছেন জয়ললিতা। সম্প্রতি জয়ললিতার সম্পত্তি মামলাটি তামিলনাড়ুর পরিবর্তে বেঙ্গালুরুর আদালতে শুনানি হয়। এডিএমকে সূত্রের অভিযোগ, একদা জয়ললিতা-ঘনিষ্ঠ শশীকলা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। সম্পত্তি মামলায় জয়ললিতা গ্রেফতার হলে শশীকলা চেন্নাইয়ের তখ্ত দখলের স্বপ্ন দেখছিলেন। বেঙ্গালুরুতে মামলাটি চলার সময় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আচারিয়া বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি হিসাবে জয়ললিতার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে দলের অভিযোগ। জয়ললিতা সেই ‘ষড়যন্ত্র’ ভেস্তে দিতে শশীকলাকে যেমন বহিষ্কার করেছেন, বিজেপি নেতৃত্বের কাছেও আর্জি জানিয়েছিলেন আচারিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আজ আচারিয়া প্রকাশ্যেই বলেন, বিজেপি নেতৃত্ব জয়ললিতার মামলায় বিশেষ কৌঁসুলির পদ ছাড়ার জন্য তাঁকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁকে ওই পদে নিয়োগ করেছেন। তাই তিনি অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদই ছেড়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী অবশ্য বলেন, “আমাদের দল থেকে কারও উপরে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।” কর্নাটকের বিজেপি সরকারের দাবি, আচারিয়ার দু’টি পদে থাকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে অস্বস্তিতে পড়তে চায় না। তাই আচারিয়াকে একটি পদ বেছে নিতে বলা হয়েছিল।
আচারিয়ার অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি-ই ওই জনস্বার্থ মামলা করিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বিশেষ কৌঁসুলির পদ ছাড়ার জন্য চাপ দিতে লোকায়ুক্তের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি যে চাপ দিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ চাপা দিতে চায়,এই ঘটনা তার প্রমাণ। বিজেপি শিবির অবশ্য ঘরোয়া স্তরে স্বীকার করছে, জয়ললিতাকে পাশে পেতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিজেপি এখন এনডিএর সদস্য বাড়াতে চায়। নরেন্দ্র মোদীর অনশন বা লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রার মঞ্চে জয়ললিতা তাঁর প্রতিনিধি পাঠিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন। সম্প্রতি চেন্নাইতে আডবাণীও জয়াকে ‘স্বাভাবিক মিত্র’ বলে বর্ণনা করেছেন। টেলিফোনেও জয়ললিতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বিজেপি নেতাদের। |
|
|
|
|
|