এমনিতে থানায় ডায়েরি বা এফআইআর নিতে না-চাওয়াটা প্রায় রেওয়াজে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এফআইআর না-নেওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন আদালত, এমনকী কলকাতা হাইকোর্টও পুলিশকে বারবার ভর্ৎসনা করেছে।
এই পরিস্থিতিতে গড়িমসি নয়, বরং পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিয়েছেন এক চিকিৎসক। সেই মামলায় তলব সত্ত্বেও ফুলবাগান থানার তদন্তকারী অফিসার কেস ডায়েরি নিয়ে আদালতে হাজির না-হওয়ায় বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ওই থানার আইসি-র। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আজ, শুক্রবার ডিসি (ইএসডি)-কে হাইকোর্টের কাজের শুরুর সময়েই তাঁর এজলাসে হাজির হতে হবে।
মূল অভিযোগটি চিকিৎসায় গাফিলতির। সুধীরকুমার ঠাকুর নামে গাজিয়াবাদের এক বাসিন্দা ফুলবাগান থানায় একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি জানান, তাঁর ভাইকে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু যথাযথ চিকিৎসার অভাবে তাঁর মৃত্যু হয়। সুধীরকুমার চিঠিতে ওই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, বেশ কয়েক জন চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ জানান। সেই চিঠির ভিত্তিতে এফআইআর করে তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ।
সৌম্য ভট্টাচার্য নামে এক চিকিৎসক ফুলবাগান থানার পুলিশের এই অতি সক্রিয়তার অভিযোগ এনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, তদন্তের নামে পুলিশ নানা ভাবে হেনস্থা করছে। বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস বৃহস্পতিবার ওই থানার তদন্তকারী অফিসারকে কেস ডায়েরি নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তদন্তকারী এ দিন হাজির হননি। অন্য এক অফিসারকে পাঠিয়ে দেন।
কিন্তু সুধীরকুমারের চিঠির ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ তদন্ত শুরু করার বিষয়ে ওই বদলি অফিসার কোনও উত্তরই দিতে পারেননি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি তখনই থানার আইসি-র জরিমানা করেন এবং আজ, শুক্রবার ডিসি (ইএসডি)-কে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। |