ঘরে আগুন লেগে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার যদু কলোনিতে। মৃতের নাম দেবনাথ ঘোষ (৮৪)। ঘরটিও সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে গিয়েছে। তবে কী ভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে দমকল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই দোতলা বাড়িটিতে আগুন লাগে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকলকর্মীরাই দেবনাথবাবুকে উদ্ধার করেন। তার পরে তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেবনাথবাবুর স্ত্রী অমিতাদেবীও ওই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। অমিতাদেবীর মেয়ে শম্পা দাস বলেন, “বাড়িতে বাবা-মা দু’টি আলাদা ঘরে থাকতেন। এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মা-ই ফোন করে জানায়, বাবার ঘরে আগুন লেগে গিয়েছে।” অমিতাদেবী জানিয়েছেন, তিনি দুপুরে ঘুমোচ্ছিলেন। ধোঁয়া এবং পোড়া গন্ধে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি উঠে গিয়ে দেখেন, দেবনাথবাবুর ঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। আশপাশের বাড়ির লোকেরা নিজেদের ঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার-সহ দাহ্য বস্তু নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যান।
|
রাতের শহরে যত্রতত্র বেআইনি পার্কিং থেকে যথেষ্ট আয় না হওয়ায় চাপান-উতোর বাধল পুরসভার দুই দফতরে। নিয়ম অনুযায়ী, দিনে পার্কিং ফি আদায় করে পার্কিং দফতর। আর রাতে গাড়ির বেআইনি পার্কিং দেখভালের দায়িত্ব জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের। পুলিশের সহায়তায় ওই সব গাড়ি তুলে ধাপায় নিয়ে যাওয়া হয়। জরিমানা আদায় করে তাদের ছাড়া হয়। মেয়র পারিষদ (পার্কিং) রাজীব দেব বলেন, “২০১০-১১ সালে পার্কিং বাবদ পুরসভার আয় হয়েছিল ৬ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এ বার (২০১১-১২) ডিসেম্বর পর্যন্ত তা হয়েছে ৬ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। তৃণমূলের প্রথম বোর্ডে রাতে নিয়মিত অভিযানে আয় হত। এখন ঢিলেমি হচ্ছে।” বিষয়টি কার্যত মেনে নিয়ে জঞ্জাল অপসারণ দফতরের বর্তমান মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, “সমন্বয় ও পরিকল্পনা করে সব দফতরকেই নামতে হবে।”
|
বৃহস্পতিবার রাত সওয়া দশটা নাগাদ গিরীশ পার্ক স্টেশনে দমদমগামী একটি ট্রেনের সামনে ‘ঝাঁপ’ দেন অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় মেট্রোটি। ততক্ষণে চালকের কেবিন-সহ ট্রেনের কয়েকটি কামরা ঢুকে গিয়েছিল প্ল্যাটফর্মে। মেট্রো সূত্রে খবর, আস্তে আস্তে ট্রেনের সব যাত্রীদের কেবিনের দরজা দিয়ে বার করে আনা হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ থাকে। দমদমের দিকে যাওয়ার এটিই ছিল শেষ মেট্রো। ফলে বিপাকে পড়েন অনেক যাত্রী। পরে অবশ্য দেহটি লাইন থেকে সরানো হলে ফের যাত্রীদের নিয়ে রওনা দেয় ট্রেনটি।
|
এক যুবকের অপমৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার, বিধাননগর জি ডি ব্লকে। মৃতের নাম সত্যশুভ্র চট্টোপাধ্যায় (২২)। পুলিশ জানায়, বছর দশ-বারো আগে সত্যশুভ্র ওরফে বাপি সর্দারকে দত্তক নেন শান্তনু চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী শুভ্রাদেবী। বছর আড়াই আগে সত্যশুভ্রর বিয়ে হয় বেলেঘাটার সুস্মিতার সঙ্গে। তাঁদের বছর দেড়েকের এক সন্তান আছে। শান্তনুবাবু পুলিশকে জানান, এ দিন সকালে তিনি দেখেন, বিছানায় সত্যশুভ্র সংজ্ঞাহীন পড়ে। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ মৃতের মা, বাবা ও স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
|
মোবাইল ফোন চুরি চক্রের তিন পাণ্ডাকে বৃহস্পতিবার বিহার থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক মাসে রাতে শহরের বেশ কিছু দোকানের শাটার ভেঙে কয়েকশো মোবাইল ফোন চুরি করেছে তারা। ধৃতদের মধ্যে দু’জন ট্যাক্সিচালক। তাদের গাড়িতেই দুষ্কৃতীরা চুরি করতে বেরোত বলে গোয়েন্দারা জানান। |