পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে ফের এক বার চাপের মুখে ফেলল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে বন্ধ হয়ে যাওয়া দুর্নীতি মামলাগুলি ফের শুরু করলেই একমাত্র রেহাই দেওয়া হবে গিলানিকে।
প্রায় ছ’কোটি ডলার নয়ছয় করার অভিযোগ রয়েছে জারদারির বিরুদ্ধে। মুশারফের আমলে অর্ডিন্যান্স করে বন্ধ করে দেওয়া হয় মামলাটি। ২০০৯ থেকে বারবার মামলা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, তা অগ্রাহ্য করে চলেন গিলানি। যুক্তি হিসেবে দেখান, সংবিধান অনুযায়ী যে কোনও আইনি ব্যবস্থা থেকে সরে থাকার রক্ষাকবচ রয়েছে পাক প্রেসিডেন্টের।
আদালত অবমাননার অভিযোগে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ডেকে পাঠানো হয়েছে গিলানিকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে, পাল্টা আবেদন করেন গিলানির আইনজীবী এতজাজ এহসান। প্রধান বিচারপতি ইফতিকার চৌধুরি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, জারদারির বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার জন্য সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখলেই গিলানির বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়া হবে।
পাক প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের একটি অংশে লেখা হয়েছে“প্রাক্তন সেনাশাসক পারভেজ মুশারফের আমলে যে বিচারপতিদের আটকে রাখা হয়েছিল, তাঁদের অনেককে মুক্তি দেওয়া সত্ত্বেও আদালত অবমাননার
অভিযোগ আনা হয়েছে গিলানির বিরুদ্ধে।” আবেদনের এই অংশটিকে ‘আপত্তিকর’ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত। ভাষা নিয়েও ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি চৌধুরির কথায়, আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে ওই আবেদনে।
গিলানির সমর্থকদের মধ্যে অনেকেরই দাবি, মুশারফের আমলে আর্থিক নয়ছয়ে প্রাক্তন সেনাপ্রধান ঘনিষ্ঠ প্রায় ৮ হাজার জনের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল। সে সময় তাদের ছেড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সে ক্ষেত্রে, এখন গিলানির সঙ্গে আদালত যা করছে, তা বৈষম্যমূলক আচরণ ছাড়া কিছুই না। |