গ্রামের স্মৃতিতে অমলিন নবদ্বীপ হালদার
ন্মভিটে পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
প্রয়াত অভিনেতা।
জন্ম শতবর্ষে তাঁকে স্মরণ করার তেমন আড়ম্বর ছিল না ঠিকই। তবে কৌতুকাভিনেতা নবদ্বীপ হালদারকে ভোলেনি তাঁর জন্মভিটে বর্ধমানের সোনাপলাশি গ্রাম। সম্প্রতি তাঁর স্মরণে দু’দিন ধরে সভা করলেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামে তাঁকে সকলে চিনত নবা হালদার নামেই। স্থানীয় মাঝেরপাড়ায় তাঁর বসতভিটেটি এখন বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ খণ্ডহর। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাঁচিল ঘোষণা করছে, এক সময় এখানেই ছিল তাঁর বাড়ি। গ্রামে তাঁর ‘স্মৃতি’ বলতে এইটুকুই। সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল তাঁর মেয়ে লক্ষ্মী হালদারের। তবে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। তাঁর কথা উঠলেই গ্রামের প্রবীণদের অনেকেই হারিয়ে যান ছোটবেলার দিনগুলিতে। ৭৪ বছরের শক্তিশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার বয়স তখন মাত্র আট। গ্রামে যাত্রা বসত। কলকাতার বিভিন্ন দল আসত। তিনি তখন গ্রামে এসেছেন। তাঁকে জোর করে মঞ্চে তোলা হল। নবা বামুন মঞ্চে উঠে নিজের সংলাপ ভুলে গিয়ছিলেন। সংলাপটা ছিল, হাঁড়ি খুলে দেখি মাংস নেই। কিন্তু তিনি বললেন, হাঁড়ি খুলে দেখি, বাবা নেই। সেটা শোনা মাত্রই হাসতে লাগল সকলে। আসলে তাঁর এই ভুল সকলকে হাসানোর জন্যই ছিল।” ‘নবাদাদু’-র স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে আজও বদলায়নি মাঝেরপাড়ার একটি মিষ্টির দোকান। সেটির প্রথম মালিক অভয় মোদক দীর্ঘ দিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। দোকানের মালিক এখন অভয়বাবুর নাতি দীনবন্ধু মোদক। দীনবন্ধুবাবু বললেন, “একটা হাস্যকৌতুকে আমাদের দোকানের একটি দৃশ্য ব্যবহার করেছিলেন নবাদাদু।
শুধু সেই ঘটনার স্মরণেই আমার দোকানটাকে সেই পুরনো দিনের মতই রেখেছি। নবদ্বীপ হালদারের স্মরণসভায় সোনাপলাশি গিয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের আর এক কৌতুকাভিনেতা রবিন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “সারা জীবন শুধু সকলকে হাসিয়ে গেলেন। কিন্তু নিজের জীবনে তাঁর দুঃখের সীমা ছিল না। কোনও দিন তিনি সচ্ছলতার মুখ দেখেননি।” তাঁর দাবি, “উত্তম-সুচিত্রার ছবি সাড়ে ৭৪-এ নবদ্বীপ হালদারের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এই সিনেমা তাঁকে দারুণ খ্যাতিও দিয়েছিল। তখন হাস্যরসই ছিল ছবির অন্যতম সম্পদ।”
নবদ্বীপ হালদারকে নিয়ে দীর্ঘ দিন গবেষণা করছেন সুজয় বিশ্বাস। তার বক্তব্য, “শতাধিক ছবিতে নানা ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তাঁর হাস্যকৌতুকের লং প্লেয়িং রেকর্ড বের করেছিল বেশ কয়েকটি সংস্থা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সেই এলপিগুলির একটিও আমি প্রায় টানা দশ বছর ধরে খুঁজেও পাইনি।”
উদিত সিংহের তোলা ছবি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.