|
|
|
|
ওয়ার্ডে ঢুকে রক্ত চুরি করার চেষ্টা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ওয়ার্ডে ঢুকে হাসপাতালের সিরিঞ্জ চুরি করে এক রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বেসরকারি প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরির এক কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেল মেডিক্যাল-১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। রোগীর পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁদের কলার ধরে মারতে যান বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। তার আগেই অবশ্য ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান। কী ভাবে নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়িয়ে ওই বেসরকারি ল্যাবরেটরির কর্মী ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন তা নিয়ে এদিন রোগীর পরিবারের লোকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটি ওয়ার্ডে নার্সদের বসার টেবিলের পাশেই হাসপাতালের বেশ কিছু নতুন সিরিঞ্জ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখা থাকে। সেখান থেকে ওই ব্যক্তি কী করে সিরিঞ্জ কংগ্রহ করলেন প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার বিজয় থাপা বলেন, “ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ভাবে বাইরের লোক হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকতে পারেন না। নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।” বেসরকারি ল্যাবরেটরির ব্যক্তিটি এদিন যে রোগীর রক্ত নিয়ে ওয়ার্ডে ঢুকেছিলেন তাঁর নাম আখতার আলি। এদিন সকালেই আখতার পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করাতে বলেন। তার পরেই ওই ব্যক্তি ওয়ার্ডে ঢুকে আখতারকে তার বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে রক্ত পরীক্ষা করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। কেউ সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। আখতারের বাবা আমির আলি ওয়ার্ডের বাইরে যান। ভিতরে ছিলেন দাদু আকবর আলি। ফের ওই ব্যক্তি সিরিঞ্জ নিয়ে সেখানে হাজির হন। ঘাবড়ে গিয়ে আখবরবাবু যান ছেলেকে ডাকতে। আমির ছুটে এসে বাধা দিতেই ওই ব্যক্তি কলার ধরে তাঁকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। ধস্তাধস্তি দেখে ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকেরা এলে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। আমির বলেন, “অভিযোগ জানিয়েছি। বহিরাগত ওই ব্যক্তি এসে রক্ত নিতে জোর করে। রোগীর লোকদের এ ভাবে ওয়ার্ডের মধ্যে বাইরের লোকজন হেনস্থা করবে কেন বুঝতে পারছি না।” |
|
|
|
|
|