জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আট মাসের মধ্যে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজের প্রথম পর্যায়ের বরাত পেয়েছে নির্মাণ সংস্থা ম্যাকিনটোস বার্ন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে সরকারি ভাবে নির্মাণ কাজ শুরুর ঘোষনা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নির্মাণ সংস্থার কর্মী-আধিকারিকরা জলপাইগুড়িতে চলে এসেছেন। শহরে পাহাড়পুরে স্থায়ী ভবন তৈরির জন্য অধিগৃহীত প্রায় ৪০ একর জমিতে অস্থায়ী শিবির তৈরি করেছে নির্মাণ সংস্থা। সোমবার জমির সীমানা নির্ধারণ করে চিহ্নিতকরণের কাজ হয়েছে। দেড় কিলোমিটার লম্বা প্রাচীর দিয়ে জমিটি ঘেরা হবে। সীমানা প্রাচীরটি সুদৃশ্য নকশা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। প্রাচীর তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই জমিটি নির্মাণ কাজের উপযুক্ত করার কাজ চলবে। সীমানা প্রাচীর তৈরি শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী পর্যায়ে ভবন তৈরির কাজ হবে। তিন দশক ধরে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে টানাপোড়েন চলতে থাকার পরে প্রথম বারের জন্য, স্থায়ী ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। |
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “রাজ্যে নতুন সরকার আসার পরে প্রথম দিন থেকে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল। সেই মতো রাজ্য সরকার পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। পূর্ত দফতর থেকে আইন মন্ত্রক সকলের সঙ্গেই সমন্বয় রেখে এই কাজ করা হচ্ছে।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসব উদ্বোধনের পর জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের কাজ শুরুর সরকারি ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই নির্মাণ কাজ শুরুর ফলক উন্মোচন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে থাকলেও জলপাইগুড়িতে জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভাবে কাজ চালুর জন্য তৈরি পরিকাঠামো তথা জেলা পরিষদ ডাক বাংলো-সহ বিচারপতিদের থাকার আবাসন একাধিক বার পরিদর্শন করার পরে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্থায়ী ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পরেই অস্থায়ী ভাবে বেঞ্চের কাজ শুরু করার সন্মতি দেওয়া হবে। সে কারণেই স্থায়ী ভবনের জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পরে অস্থায়ী ভবনে বেঞ্চের উদ্বোধন হতে পারে বলে আশায় বুক বেধেছে জলপাইগুড়ি। পূর্ত নির্বাহী বাস্তুকার শেখর মজুমদার বলেন, “যে সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে তারা জলপাইগুড়িতে চলে এসেছে। নির্মাণের প্রস্তুতির কাজ সেরে ফেলা হয়েছে।” |