ভূমিহীন পরিবারকে থিতু করতে বাস্তুজমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুসারে ‘নিজগৃহ ও নিজভূমি প্রকল্প’-এ যে-সব ভূমিহীন পরিবার তিন কাঠা করে বাস্তুজমি পাওয়ার উপযুক্ত, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব জেলায় তাঁদের প্রথম দফার নামের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই প্রকল্পে পাঁচ বছরের মধ্যে সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে তিন কাঠা করে বাস্তুজমি দেওয়া হবে। সরকারি হিসেবে রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে আপাতত এই ধরনের পরিবার আছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ।
গত ১২ জানুয়ারি ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে জঙ্গলমহল উৎসবের মঞ্চ থেকে ১০৩টি ভূমিহীন পরিবারের হাতে তিন কাঠা করে জমির পাট্টা তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওই প্রকল্পের সূচনা করেন। তার পরে রাজ্য জুড়ে ওই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন, এমন ভূমিহীন পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ জোরদার করা হয়েছে।
সরকারি মহলের মতে, জরুরি ভিত্তিতে খেতমজুর, গ্রামীণ কারিগর ও মৎস্যজীবী ভূমিহীন পরিবার চিহ্নিত করে জমি বরাদ্দের প্রক্রিয়া চালু না-হলে পাঁচ বছরে সাড়ে পাঁচ লক্ষ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমি বিলি করা সম্ভব হবে না। সরকারি খাস জমি না-মিললে জমি কিনে ওই সব পরিবারকে তিন কাঠা করে বাস্তুজমি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এই কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য প্রতিটি ব্লকে ভূমি ক্রয় ও ভূমি বিতরণ কমিটি গড়া হয়েছে। তাতে সরকারি আধিকারিকেরা ছাড়াও আছেন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা।
জমি বিলির সময় অন্তত ১০-১৫টি পরিবারকে পাশাপাশি জায়গা দেওয়ার কথা মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। সে-ক্ষেত্রে পানীয় জলের একটি নলকূপ বসালে বা একটি রাস্তা তৈরি হলে একসঙ্গে অনেক পরিবার তার সুবিধা পাবে। ঘর তৈরির পরে যেটুকু জমি বাঁচবে, সেখানে বিভিন্ন সব্জি চাষ করে অথবা মুরগি, ছাগল পালন করে ওই সব পরিবার যাতে বাড়তি কিছু আয়ের ব্যবস্থা করতে পারে, সেই জন্য কৃষি ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরকেও এই প্রকল্পে সামিল করা হয়েছে।
|
চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে অশোক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গেলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রবীণ রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গত কয়েক বছরে একাধিক বার চেন্নাই যেতে হয়েছে তাঁকে। দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে, এ বারও সেই একই উদ্দেশ্যে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে কয়েক দিন অশোকবাবুকে ভর্তি থাকতে হবে। ফ ব-র ‘ঘনিষ্ঠ’ এক চিকিৎসকও অশোকবাবুর সঙ্গে গিয়েছেন। |