পাক্কা তিন বছর অধ্যক্ষ ও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। কবে হবে, জানে না উচ্চশিক্ষা দফতরও। এই অবস্থায় প্রচুর শূন্য পদ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে বহু কলেজই।
ওই দফতর সূত্রের খবর, ৪৫০-র কিছু বেশি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে প্রায় ১৫০ জন অধ্যক্ষের পদ খালি। গত বছর জানুয়ারিতে ১৩১টি অধ্যক্ষ-পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন (সিএসসি)। তার মধ্যে ৮৮টি পদে আবেদন মিলেছে। অর্থাৎ ৪৩টি কলেজে অধ্যক্ষের জন্য কোনও আবেদনই জমা পড়েনি। আবার ৮৮টি ক্ষেত্রে আবেদন পাওয়া গেলেও সেখানে নিয়োগের ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য আচার্য মনোনীত প্রতিনিধির নাম মেলেনি। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস আগেই আচার্যের কাছে তাঁর মনোনীত প্রতিনিধির নাম চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তা না-আসায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যাপারে ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য দুই সদস্যের বোর্ড গড়ে সিএসসি। ওই দুই সদস্যের এক জন হলেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা তাঁর প্রতিনিধি। আর দ্বিতীয় জন হলেন আচার্যের প্রতিনিধি। কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “আচার্যের প্রতিনিধির নামের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেটা পেলেই ইন্টারভিউ হবে। এ ব্যাপারে উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি।”
কবে ওই প্রতিনিধির নাম পাওয়া যাবে? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আচার্যের কাছে নাম চাওয়া হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই উনি কোনও প্রতিনিধিকে মনোনীত করবেন।”
শুধু প্রচুর অধ্যক্ষ-পদই খালি নয়। আটকে রয়েছে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের প্রক্রিয়াও। কারণ কলেজগুলিতে কত পদ শূন্য রয়েছে, কলেজ সার্ভিস কমিশনের কাছে এখনও সেই তালিকা পাঠায়নি উচ্চশিক্ষা দফতর। তালিকা পাঠাতে দেরি কেন? উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কলেজে কলেজে সংরক্ষিত পদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। তাই এই বিলম্ব। কলেজে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কলেজ সার্ভিস কমিশন শেষ বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ২০০৮-এ। সে-বার ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগের কাজ চলেছিল ২০১০ পর্যন্ত। তার পরে আর বিজ্ঞাপন হয়নি। ফলে প্রার্থীরা সমস্যায়। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কোন কলেজে কত শিক্ষক-পদ আছে, তার মধ্যে ক’টি পদ সংরক্ষিত, অধ্যক্ষদের কাছে সেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “কলেজগুলি তথ্য পাঠাচ্ছে। সংরক্ষিত পদের সংখ্যা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের কর্তাদেরও জানাতে হয়।” সব তথ্য পেয়ে এবং অন্যান্য কার্জ সেরে ৪৫০-রও বেশি কলেজের জন্য সংরক্ষিত পদের তালিকা বানাতে আরও অন্তত দু’-আড়াই মাস লাগবে বলে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। |