রাজ্যের পার্বত্য এলাকাগুলিকে দেশের অন্য পাহাড়ি রাজ্যের সমান আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানালেন রাজ্যের পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আজ দিল্লিতে জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের নগরোন্নয়ন বিষয়ক বৈঠকে এই দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া বৈঠকে রাজীব আবাস যোজনার আওতায় বড় শহরগুলির পাশাপাশি ছোট শহরগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান তিনি। এ দিনের বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আসার কথা থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না এসে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদকে দিল্লি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠকে কেন্দ্রের কাছে মূলত তিনটি দাবি তুলবেন ফিরহাদ।
পাহাড়ি রাজ্যগুলি নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের পরিকল্পনা রূপায়ণে ৯০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় সাহায্য হিসাবে পেয়ে থাকে। কিন্তু দার্জিলিং, মিরিক, কার্শিয়াং, কালিম্পং-এর মতো রাজ্যের পাহাড়ি এলাকাগুলি সেই সাহায্য পায় না। বৈঠকে ফিরহাদ কেন্দ্রের কাছে দাবি রাখেন, রাজ্যের ওই এলাকাগুলিতে জেএনএনইউআরএমের যে সব প্রকল্পের কাজ চলছে, তার ৯০ শতাংশ অর্থ দিক কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কমলনাথ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত জুনে কেন্দ্র দেশের প্রায় আড়াইশোটি শহরে রাজীব আবাস যোজনার প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বস্তি দূরীকরণে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, জনসংখ্যা এক লক্ষের বেশি এমন শহরগুলিই শুধু এর সুফল পাচ্ছে। উপেক্ষিত থাকছে তার চেয়ে ছোট শহরগুলি। ফিরহাদ ওই জনসংখ্যাভিত্তিক ওই নিয়ম শিথিল করার দাবি করেন। পশ্চিমবঙ্গের মতো অন্য কয়েকটি রাজ্য এই দাবি জানিয়ে রেখেছে আগেই।
জেএনএনইউআরএমের প্রকল্পগুলিতে রাজ্যকে টাকা দেওয়ার পদ্ধতি বদলেরও দাবি জানিয়েছেন ফিরহাদ। এই প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্র অর্থ মঞ্জুর করে দফায় দফায়। এর জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ও টাকা পেতে সময় বেশি লেগে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। ফলে প্রকল্পের কাজে দেরি হয়ে যায়। বাড়ে খরচও। ফিরহাদ জানিয়েছেন, দু’দফায় এই টাকা দেওয়ার অনুরোধ রাখা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রস্তাব প্রথম দফায় ৭০ অংশ অর্থ দেওয়া হোক। পরে কাজ শেষ করার শংসাপত্র দেখে বাকি টাকা মঞ্জুর করুক মন্ত্রক।’’ রাজ্যের দাবির যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। |