অভিযুক্ত তৃণমূল
জীবনতলায় ফের মারধর পুলিশকে, লুঠ রাইফেলও
মাত্র চার মাসের ব্যবধানে ক্যানিংয়ের জীবনতলায় ফের আক্রান্ত পুলিশ। ফের অভিযুক্ত শাসকদল তৃণমূল।
জীবনতলা থানার পারগাথি এলাকায় দলীয় একটি মিছিলকে ঘিরে সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর ঝামেলা বাধে। পুলিশ থামাতে গেলে তাদের উপরেই হামলা চালায় এক গোষ্ঠী। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের জিপ। বাঁশ দিয়ে পেটানো হয় গাড়ির চালক-সহ চার পুলিশকর্মীকে। এক জনের মাথা ফাটে। আর এক পুলিশকর্মীর রাইফেল ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
ভাঙচুর হওয়া পুলিশের জিপ। ছবি: সামসুল হুদা
খবর পেয়ে ক্যানিংয়ের এসডিপিও পিনাকীরঞ্জন দাস, সি আই মিহির দাস ও জীবনতলার ওসি রতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বড় পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে রাতে ওই গ্রাম থেকেই রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আহত পুলিশকর্মীদের খুচিতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “রাইফেলটি উদ্ধার হলেও রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রফতার করা যায়নি।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পারগাথিতে গণ্ডগোলের খবর পেয়েছি। চার জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। একটি রাইফেলও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সব কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। আমি পুলিশকে বলেছি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে। আইন আইনের পথেই চলবে। কোনও রকম হস্তক্ষেপ করা হবে না।” গত বছর সেপ্টেম্বরে দিন চারেকের ব্যবধানে এই জেলারই কুলপি ও জীবনতলা থানায় পুলিশের উপরে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ পারগাথি এলাকায় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী মিছিল করে। রাস্তার ধারে ছিল অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় আগে থেকেই পুলিশ ছিল। মিছিল চলার সময় হঠাৎই রাস্তার ধারের কিছু লোকজন মিছিল লক্ষ করে কটূক্তি করায় বিবাদের সূত্রপাত। পুলিশ থামাতে গিয়েই আক্রান্ত হয়।
তৃণমূলের ক্যানিং-২ ব্লক সভাপতি মানিক পাইকের অভিযোগ, “দিন কয়েক আগে আমাদের দলেরই নেতা শৈবাল লাহিড়ির অনুগামী লতিফ লস্করের নেতৃত্বে কিছু লোক হামলা চালায় দলীয় কর্মী মুর্শিদা বিবির উপরে। পুলিশে অভিযোগ হয়। তার পরে থেকেই এলাকাছাড়া ছিল লতিফ ও তার দলবল। এ দিন তারা এলাকায় ফেরে। মিছিলে হামলার ছক কষে তারাই। ওরাই পুলিশকে আক্রমণ করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যানিং-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবালবাবুর দাবি, “ঘটনায় আমি বা আমার দলের কেউই জড়িত নন। লতিফ লস্কর এখনও এলাকাছাড়া। আমাদের অপদস্থ করতে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.