বাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ১০ জন যাত্রী। সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ দৌলতাবাদের কেওয়াতলা ন-মাইলের কাছে বহরমপুর-জলঙ্গি রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। বাস ও লরির চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “জেলা পুলিশ প্রশাসনের একটি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। গাড়ির অভাবে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে যাতে দেরি না হয়, এ জন্য দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ওই অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর নির্দেশ দিই। এ ছাড়াও পুলিশের গাড়িতে আহতদের নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।” পুলিশ সুপার বলেন, “ওই দুর্ঘটনায় ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুই স্কুল ছাত্রকে বাঁচাতে গিয়েই ওই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। লরি ও বাসটি আটক করে থানায় রাখা হয়েছে।” রানিনগরের মোহনগঞ্জ থেকে এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বেসরকারি ওই বাসটি। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বহরমপুর-জলঙ্গি রাজ্য সড়কে বাস ও লরির মধ্যে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। প্রত্যক্ষদর্শী অমর মাঝি বলেন, “সেই সময়ে কুলবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুল ছুটি হওয়ায় ছাত্রছাত্রী ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তার মধ্যে দু’জন ছাত্র আচমকা লরিটি বাসের সামনে চলে আসায় ওই ছাত্রদের বাঁচাতে গিয়ে চালক বাসটি ঘোরাতে যান। ফলে লরির সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে।” দুর্ঘটনার পরেই গ্রামবাসীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ জানায়, লরির চালককে কেবিন কেটে বের করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাসের চালকও গুরুতর জখম হন। ঝাঁকুনিতে বেশ কয়েক জন বাসযাত্রী আহন হন। ওই দুর্ঘটনার পরেই রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজট হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়িকেই উদ্ধার করে যানজট কাটাতে পুলিশের ঘন্টা খানেক লেগে যায়। এর পরে ওই রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ভস্মীভূত লরি। ভস্মীভূত হয়েছে একটি খড় ভর্তি লরি। সোমবার নওদার শ্যামনগরের ঘটনা। দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। রাস্তার বিদ্যুতের তার থেকে লরিটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে গিয়ে ২ জন জখম হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। |