আর্জেন্তিনার প্রাক্তন অধিনায়ক খুয়ান পাবলো সোরিনকে এবং ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার জন বার্নস দেখা যাবে হলদিয়ার ক্লাবে। বার্নস কোচ, সোরিন অধিনায়ক।
ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের সবথেকে দামি ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রিমিয়ার সকার লিগ বা পি এল এসের পাঁচটি দলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা দল কিনে নিয়েছিলেন আগেই। এ দিন ২৪ মার্চ টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের কথা ঘোষণার পাশে সাড়ে সাত কোটির সামান্য বেশি দামে বিক্রি হয়ে গেল ছয় নম্বর দল হলদিয়াও। কিনল গ্রে মাইন্ড কমিউনিকেশন। সোমবার ক্লাবগুলির সভায় যোগ দেন ছয়টি দলের প্রতিনিধিরাই।
বার্নস এবং সোরিনের যোগদান নিশ্চিত হয়ে গেলেও ভাইচুং ভুটিয়ার মতো আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবলাররা এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে এখনও।
এ দিনের সভায় দু’টো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এক) সাত সপ্তাহের পি এল এস শুরু হবে ২৪ মার্চ। ফাইনাল ৬ মে। দুই) ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় ফুটবলারদের নিলাম করা হবে। সভায় বারাসত-সহ ক্লাবগুলির প্রতিনিধিরা দাবি করেন, আই লিগের ফুটবলারদের না পেলে ভাল ভারতীয় পাওয়া অসম্ভব। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবলাররা খেলতে পারবেন। তবে যারা মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে তাদের পাওয়া যাবে না।” উৎপলবাবু এ কথা বললেও পি এল এসের অনুমতি দেওয়ার সময় ফেডারেশন জানিয়েছিল আই লিগের কোনও ডিভিশনের ফুটবলার খেলতে পারবে না। এ আই এফ এফ কর্তারা এখনও তাতে অটল। ফলে চুড়ান্ত বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ফেডারেশনকে নমনীয় করার চেষ্টায় আই এফ এ।
নিয়মানুযায়ী ১৪ জন স্বদেশীয় ফুটবলার নিতে পারবে ক্লাবগুলি। এর মধ্যে নয় জনকে নিতে হবে রবিবারই। ফুটবলারদের সর্বনিম্ন মূল্য হবে দুই বা তিন লাখ টাকা। ৩ মার্চ শুরু হবে ক্লাবগুলির অনুশীলন। তবে শিলিগুড়ি এবং কলকাতার মাঠ নিয়ে সমস্যা আছে। প্রত্যেকটি ম্যাচ হবে রাতে। ক্লাবগুলির নথিভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ফেডারেশন। এ দিন ঠিক হয় আই এফ এর নথিভুক্ত ক্লাবগুলির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। পরিবর্তন করা হবে ক্লাবগুলির নামেরও। এ দিনের সভায় উপস্থিত ক্লাবগুলির কর্তারা তাদের টিমের নাম কী হবে তা সরকারিভাবে জানিয়ে দেন। দলগুলির নাম হচ্ছে এই রকম: দুর্গাপুর ভক্স চ্যাম্পিয়ন, কলকাতা ক্যামিলিয়ার্স, শিলিগুড়ি বেঙ্গল টাস্কার্স, বারাসত ইউরো মাস্কেটিয়ার্স, হাওড়া ম্যাঞ্চেস্টার। হলদিয়া এখনও নাম ঠিক করে উঠতে পারেনি।
পি এল এসের মোট পুরস্কার অর্থ দেড় কোটি টাকা। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ লাখ। নিজেদের টিমের বিপণন করার জন্য নানা পরিকল্পনা নিচ্ছেন টিম গুলোর কর্তারা। শিলিগুড়ি যেমন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিতে চাইছে, তেমনই হাওড়া চাইছে জনপ্রিয় কোনও খেলোয়াড়কে ওই পদে বসাতে। হাওড়া ম্যাঞ্চেস্টারের ডিরেক্টর দীপ্তা শর্মা বললেন, “আমরা চাইছি স্টেডিয়ামে মহিলা দর্শকদের আনতে। তার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”
ঠিক ক্রিকেট আই পি এলের সময় পি এল এস হচ্ছে। তাতে কোনও অসুবিধা হবে বলে মনে করছেন না আই এফ এ সচিব। উৎপলবাবু বললেন, “আই পি এলের যা অবস্থা তাতে আমি আশাবাদী পি এল এস ক্রিকেটকে টেক্কা দেবেই।” |