মেলা শেষ হয়ে গিয়েছে সেই কবেই। কিন্তু মাঠে এখনও ছড়িয়ে রয়েছে ইট-কাঠ, ভাঙা উনুন, আবর্জনা। নাগরিক পরিষেবার এই নমুনাই দেখছে রাজ্যের শিল্পায়ন ও প্রগতির অন্যতম প্রধান ‘মুখ’ দুর্গাপুর।
গত ১০ জানুয়ারি গ্যামন ব্রিজ মোড় ময়দানে শেষ হয়েছে কল্পতরু মেলা। এক মাস পেরোতে চলল। কিন্তু মেলার মাঠ পরিষ্কার করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাতর্ভ্রমণ বা বিকেলে খেলাধুলো লাঠে উঠেছে। অবিলম্বে মাঠটি পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মেলা কমিটির সভাপতি দেবদাস মজুমদারের আশ্বাস, দ্রুত মাঠ পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। কিন্তু কেন এত দিনে তা হয়নি, তার সদুত্তর মেলেনি। |
দশ দিনের কল্পতরু উৎসব শুরু হয়েছিল ১ জানুয়ারি। পৃথক ভাবে বসে বইমেলা ও কৃষিমেলার আসর। প্রতি সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কয়েকশো স্টলে নানা পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন শিল্প ও কর্পোরেট সংস্থাও স্টল দেয়। দুর্গাপুরের পাশাপাশি অন্ডাল, রানিগঞ্জ, পানাগড়, বুদবুদ থেকেও মানুষজন এসেছিলেন। উদ্যোক্তাদের প্রশংসাও করে যান তাঁরা। কিন্তু মেলা শেষ হওয়ার পরে প্রায় এক মাস গড়িয়ে গেলেও মাঠ পরিষ্কার না হওয়ায় উদ্যোক্তাদের সমালোচনা শুরু হয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা বিধান উপাধ্যায়, অনিল মণ্ডলেরা জানান, তাঁরা রোজ ওই মাঠে প্রাতর্ভ্রমণ করেন। হাল্কা শরীরচর্চাও করেন অনেকে। মেলার পরে মাঠ এবড়োখেবড়ো হয়ে গিয়েছে। উদ্যোক্তারা তা সমান করে না দেওয়ায় তাঁরা অসুবিধায় পড়ছেন। এলাকার খুদেরা বিকেলে ওই মাঠে ফুটবল খেলে। মাঠ অসমান হয়ে যাওয়ায় তাদেরও খেলা বন্ধ। দেবদাসবাবু অবশ্য দাবি করেন, ইতিমধ্যেই মাঠটিকে পূর্বাবস্থায় ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। তাঁর কথায়, “আমরাও এলাকার মানুষ। আমরাও চাই, মাঠটি ফের আগের অবস্থায় ফিরুক। কিছু কাজ বাকি আছে। দ্রুত তা করে দেওয়া হবে।”
দুর্গাপুরের ডেপুটি মেয়র শেখ সুলতান বলেন, “ওই মাঠটি আমাদের নয়, ডিপিএলের। তারাই বিষয়টি দেখবে।” ডিপিএল সূত্রের আশ্বাস, কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই মাঠ পরিষ্কার হয়ে যাবে। |