|
|
|
|
প্রবন্ধ ১... |
‘মানবিক’ সরকারকে জমি অধিগ্রহণ করতেই হবে |
জমি বেচা-কেনা শুধু বাজারের হাতে ছেড়ে দিলে সাধারণ মানুষ
শেষ পর্যন্ত
তাঁদের
প্রাপ্যের
তুলনায় কম দাম পাবেন। শিল্পমহলেরও
অসুবিধা,
কারণ জমি কিনতে বিপুল সময় নষ্ট হবে। প্রথম পর্ব
লিখছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী ও অমিতাভ গুপ্ত |
শিল্পায়ন নিয়ে আলোচনামাত্রেই একটা প্রশ্নের সামনে এসে হোঁচট খাচ্ছে শিল্পায়নের জমি। পশ্চিমবঙ্গে নতুন সরকার গড়েই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করবে না। শিল্প গড়তে হলে বাজার থেকে জমি কিনে নিতে হবে। আবার, শিল্পপতিরা জমির প্রশ্নটি তুললে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্তও করেছেন। বলেছেন, শিল্প গড়তে চাইলে জমি নিয়ে সমস্যা হবে না।
সমস্যা যে শুধু পশ্চিমবঙ্গের, তা নয়। গোটা দেশেই শিল্পায়নের জমি এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন। আপাতত আমরা পশ্চিমবঙ্গের সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা করব।
শিল্পায়নের উপযোগী যথেষ্ট জমি কি পশ্চিমবঙ্গে আছে? এই প্রশ্নটার কোনও সহজ উত্তর নেই, কারণ পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করার কথা বললেও তা এখনও হয়ে ওঠেনি। সম্প্রতি একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, যার থেকে পশ্চিমবঙ্গের জমি-মানচিত্রের কিছু ধারণা পাওয়া সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গে সরকারি অর্থাৎ খাস জমি রয়েছে আড়াই লক্ষ একরের কাছাকাছি। এই জমির ৯০ শতাংশই ছোট জমি, জোতের মাপ ১০০ একরের কম। এবং তা-ও একলপ্তে নয়। ৫০ শতাংশ জমিতে হয় মামলা চলছে, অথবা তা বে-আইনি ভাবে দখল হয়ে আছে। খাস জমির যে সামান্য অংশ বড় জোতের, তার ৭০ শতাংশই এমন জায়গায়, যেখানে বিনিয়োগকারীদের শিল্প গড়তে রাজি করানো কার্যত অসম্ভব। এলাকাগুলি হয় রাজনৈতিক ভাবে অস্থির, অথবা একেবারেই পরিকাঠামোহীন, অথবা পাহাড়ি এলাকা, জঙ্গল যেখানে শিল্প গড়া সম্ভব নয়। জায়গাগুলি পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এবং বর্ধমানের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কিছু এলাকা।
সরকারি খাস জমির কথা যদি হিসেব থেকে বাদ দেওয়া হয়, তা হলে যা পড়ে থাকে, ২০০৫-০৬ সালের এগ্রিকালচারাল সেনসাস থেকে পাওয়া পরিসংখ্যানে তার ছবিটি স্পষ্ট। এই রাজ্যে মোট জমির ৮১.২ শতাংশ প্রান্তিক জোত, মানে জোতের আয়তন আড়াই একরের কম। মাঝারি ও বৃহৎ জোত যথাক্রমে ০.৪ শতাংশ এবং ০ শতাংশ। পঞ্জাবে সেখানে প্রান্তিক জোত ১৩.৪ শতাংশ, মাঝারি ও বৃহৎ জোচ ২৯.৫ ও ৭.১ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে গড়ে একটি জোতের আয়তন ১.৯৫ একর। সেখানে পঞ্জাবে একটি জোতের আয়তন প্রায় ১০ একর। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের জন্য জমি যদি বাজার থেকে কিনতে হয়, একেবারে সহজ হিসেবে, অন্তত পাঁচ গুণ বেশি মালিকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালানো প্রয়োজন।
অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের সরকারের পক্ষে নিজের খাস জমি থেকে শিল্প গঠনের জন্য একলপ্তে অনেকখানি জমি দেওয়া কঠিন। আর, বাজার থেকে জমি কিনতে গেলে অনেক বেশি সংখ্যক মালিকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দুটো মেলালে, পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের জন্য জমি পাওয়া এক কঠিন সমস্যা। |
|
একটা হিসেব রাজ্যে মোট জমি মোটামুটি ২.১৯ কোটি একর। এর মধ্যে কৃষিজমি ১.৩৭ কোটি একর, মোট জমির সাড়ে বাষট্টি শতাংশ। বাকি থাকল ৮২ লক্ষ একর জমি। এ বার ভেবে দেখুন, সিঙ্গুরের কারখানার জন্য কতটা জমি প্রয়োজন ছিল মাত্র হাজার একর। অর্থাৎ, রাজ্যে কতখানি জমি আছে, সমস্যা সেটা নয়। সমস্যা হল, যেখানে প্রয়োজন, যেমন ভাবে প্রয়োজন, তেমন ভাবে পাওয়া যাচ্ছে কি না।
|
কলকাতার কাছেই |
সেই সমস্যা অনেকখানি মিটে যেত, যদি শিল্পপতিরা পুরুলিয়া বা পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জায়গায় শিল্প গঠন করতে সম্মত হতেন। কলকাতা থেকে অত দূরে যেতে কেউ আগ্রহী নন। কেন? সেখানে শিল্প গঠন সম্ভব নয় বলে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা যদি বাদও দেওয়া যায়, শুধু পরিকাঠামোর অভাবেই এই অঞ্চলে শিল্প গঠন করা কার্যত অসম্ভব। শালবনীতে জে এস ডব্লিউ-এর ইস্পাত কারখানায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূর থেকে জল আনার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। তাতে সংস্থার প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মনে রাখা ভাল, সব শিল্প লৌহ-ইস্পাত শিল্পের মতো বড় বিনিয়োগের নয়। যেখানে পরিকল্পিত বিনিয়োগের পরিমাণ দু’হাজার কোটি টাকা, সেখানে বাড়তি ৩০০ কোটি টাকা খরচ করা যদি জরুরি হয়, তবে বিনিয়োগকারীরা অনেক বার ভাববেন।
এই সমস্যা মেটানোর একটা উপায় কিছু দিন আগে পর্যন্ত সরকারের ছিল। সরকার জমি অধিগ্রহণ করে তা কার্যত বিনামূল্যে শিল্পপতিদের হাতে তুলে দিত। সিঙ্গুরে টাটার কারখানার জমি বলতে গেলে বিনামূল্যেই দেওয়া হয়েছিল। আর, সিঙ্গুর থেকে পাট গুটিয়ে টাটা মোটরস যখন গুজরাতের সানন্দে পাড়ি দেয়, তখন সেখানেও জমিটি কার্যত নিখরচাতেই পাওয়া গিয়েছিল। জমির দাম বাবদ বিপুল টাকা দিতে না হলে পরিকাঠামোর অভাব তাঁরা খানিক দূর পর্যন্ত মেনে নিতে পারেন। কিন্তু, শিল্পের জন্য জমি কার্যত বিনামূল্যে দেওয়া হবে এটা কোনও নীতি হতে পারে না। আর, জমির দাম দিতে হলে শিল্পমহল পরিকাঠামোহীন প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিল্প গড়তে রাজি হবে না।
পশ্চিমবঙ্গে এখনও কারখানা বললেই দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের মতো কারখানার কথা মনে হয়, যেখানে এক দরজা দিয়ে কাঁচামাল ঢোকে, আর অন্য দরজা দিয়ে একেবারে তৈরি হওয়া পণ্য বেরিয়ে বাজারে যায়। যাকে বলে স্বয়ংসম্পূর্ণ কারখানা। কিন্তু, আধুনিক দুনিয়ায় প্রায় কোনও কারখানাই এমন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় না। কারখানায় মূল উৎপাদনের কাজটা হয় বটে, কিন্তু বহু যন্ত্রাংশ, অর্ধসমাপ্ত মাল আসে বাইরে থেকে। একে বলে অনুসারী শিল্পের উপর নির্ভরশীল শিল্প। গোটা দুনিয়াতেই এখন এই জাতীয় কারখানার আধিক্য। সহজ কারণ, এই কারখানা তৈরি করতে কম বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। আরও কারণ আছে। যেহেতু অনেকখানি কাজ সাব কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে করিয়ে নেওয়া যায়, ফলে সংস্থার স্থায়ী বেতনের খরচ কম হয়। অনেকটা কাজ যেহেতু বাইরের সংস্থাই করে, ফলে কারখানায় শুধুমাত্র মূল পণ্যটির দিকে নজর দিলেই চলে ‘মাল্টিপল স্পেশালাইজেশন’-এর প্রয়োজন হয় না। সিঙ্গুরে যে টাটা ন্যানোর কারখানা তৈরি হচ্ছিল, সেটাও এই রকমই কারখানা হত। এই কারখানার জন্য অনুসারী শিল্পের একটা বড় নেটওয়ার্ক প্রয়োজন। এই অনুসারী শিল্প আবার শুধুমাত্র একটি কারখানার ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না।
একটি শিল্পের জন্য বিভিন্ন দক্ষতার শ্রমিক প্রয়োজন। বহু সংখ্যক শ্রমিক একই জায়গায় পাওয়া যাবে, বিনিয়োগকারীরা এমন জায়গাই খোঁজেন। কারণটা বোঝা সহজ প্রয়োজন পড়লে যাতে যথেষ্ট শ্রমিক কম সময়ের মধ্যে পাওয়া সম্ভব হয়। শুধু তা-ই নয়, বিনিয়োগকারীরা এটাও দেখেন যে যদি কোনও কারণে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রয়োজন পড়ে, তখন যেন ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকরা অল্প সময়ের মধ্যে নতুন চাকরি খুঁজে পান। এই কারণেই কোনও একটি বিশেষ জায়গায় একটি বিশেষ ধরনের শিল্প বিকশিত হতে থাকে। মুম্বইয়ে অর্থনৈতিক সংস্থা, বেঙ্গালুরুতে সফ্টওয়্যার সবই মূলত এই কারণের দৌলতে। কোথায় শিল্প হবে, আর কোথায় হবে না সেই হিসেবে শ্রমিকের জোগানের প্রশ্নটি অতি গুরুত্বপূর্ণ।
অনুসারী শিল্পের নেটওয়ার্ক আর যথেষ্ট সংখ্যক শ্রমিকের জোগান এই দুটোই শহর ছাড়া সম্ভব নয়। ফলে, গোটা দুনিয়ার শিল্পায়নের ইতিহাস বলছে, শহরকে কেন্দ্র করেই শিল্প গড়ে ওঠে। ব্রাজিলের সাও পাওলো, দক্ষিণ কোরিয়ার সোল উদাহরণের অভাব নেই। পশ্চিমবঙ্গ এই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে কেন? আর, পশ্চিমবঙ্গে শহর বলতে কলকাতা। শিল্পায়নকে তার দাম দিতে হবে বইকি। ফলে, সব শিল্পই কলকাতার কাছাকাছি থাকতে চায়। দোষ দেওয়ার কারণ নেই।
বলতে পারেন, শিল্পায়নের এই প্রক্রিয়াটি বড্ড বেশি শহরের দিকে হেলে আছে। দু’ভাবে শিল্পায়ন সম্ভব এক, শিল্পকে গ্রামে নিয়ে যেতে হবে; দুই, গ্রামের মানুষকে শহরের কাছাকাছি শিল্পক্ষেত্রে কাজ দিয়ে নিয়ে আসতে হবে। গোটা দুনিয়ার অভিজ্ঞতাতেই দেখা গিয়েছে, দ্বিতীয়টিই ঠিক পথ। বিপুল বিনিয়োগের যোগ্য পরিবেশ যেখানে নেই, সেখানে বিনিয়োগ করে লাভ হয় না। গ্রামের লোককে শহরের কাছাকাছি এলাকার কারখানায় চাকরি করতে আনতে হবে।
|
মানবিক, অ-মানবিক |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছরের গোড়ায় বলেছিলেন, তাঁর সরকার ‘মানবিক’, ফলে জমি অধিগ্রহণ করবে না। বস্তুত, যে কোনও ‘মানবিক’ সরকারের কর্তব্য হল জমি অধিগ্রহণ করে দেওয়া। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে। বাজার থেকে কী ভাবে জমি কেনা হয়, এক শিল্পপতি ব্যাখ্যা করছিলেন। যেহেতু জমির মালিকের সংখ্যা প্রচুর, ফলে তাঁদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা কোনও শিল্প গোষ্ঠীর পক্ষেই সম্ভব নয়। ফলে, স্থানীয় এজেন্টের হাতে জমি কেনার কাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়। এই এজেন্টরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বা সিন্ডিকেট। এদের পেশিশক্তি আছে, রাজনৈতিক প্রতাপও আছে। ফলে, শিল্পমহল জমির জন্য যে টাকা দেয়, আর জমির মালিকদের কাছে যে টাকা পৌঁছয়, তার মধ্যে জমিন-আসমানের ফারাক থাকে। সরকার জানেও না, মানুষ জমির জন্য কী দাম পাচ্ছে।
এর সঙ্গে জমি মাফিয়াদের কথাও মনে রাখতে হবে। শিল্পপ্রস্তাবের একেবারে গোড়ায় জমি কিনে নিয়ে পরে সেই জমি বিপুল দামে বিক্রি করা রাজনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন ফড়েদের কাছে একটা লাভজনক পেশা। তাতে জমির মালিকের ক্ষতি, শিল্পমহলেরও ক্ষতি। সরকার জমি অধিগ্রহণ করলে জমির মালিকদের স্বার্থ রক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সরকার ন্যূনতম দাম বেঁধে দিতে পারে, ক্ষতিপূরণের টাকা যাতে ঠিক ভাবে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে পারে। একেবারে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সরকার এই কাজটি করতে পারে। অন্য দিকে, সরকার অধিগ্রহণ না করলে পশ্চিমবঙ্গের মতো ক্ষুদ্র জোতের রাজ্যে শিল্পের জন্য জমি কেনা কার্যত অসম্ভব। শিল্পপতিরা অন্য রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হতেই পারেন। ফলে, পরোক্ষ ভাবে তাতেও সাধারণ মানুষের ক্ষতি।
জমি অধিগ্রহণ থেকে সরকার সরে দাঁড়ালে শিল্পমহলেরও অসুবিধা। সরকার যদি কোনও জমি অধিগ্রহণ না করে, আবার ল্যান্ড সিলিং অ্যাক্টও বজায় রাখে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। ২৪ একর বা তার বেশি জমি বাজার থেকে কিনতে হলে সরকারের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। তার প্রক্রিয়াটি জটিল, সময়সাপেক্ষ। অণ্ণা হজারে বলবেন, ঘুষ-সাপেক্ষও বটে! প্রথমে অসংখ্য জমির মালিকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জমির দাম নির্ধারণ করার পর সরকারি অনুমতির অপেক্ষায় বসে থাকা বিনিয়োগকারীদের অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আর একটি সমস্যা, জমির মালিকদের দামের প্রত্যাশা। শিল্প হলে জমির দাম বাড়বে, এই কথাটি স্বতঃসিদ্ধ। ফলে, শিল্পের জন্য জমির খোঁজখবর আরম্ভ হলেই প্রত্যাশা তৈরি হয়, ভবিষ্যতে জমির দাম আরও বাড়বে। ফলে, অনেকেই জমির জন্য এমন দাম হাঁকেন, যেটা দেওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। এই কারণে অনেক সময় প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমির সবটা কেনা সম্ভব হয় না। ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি যে দাম উঠবে, সেই দামে জমি বেচার আশায় অনেকে জমি ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারেন। যাঁদের হাতে বেশি জমি, জমি ধরে রাখার প্রবণতাও তাঁদেরই বেশি। ফলে, রাজ্য সরকার অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ সরে দাঁড়ালে ছোট জমির মালিকদের ক্ষতি, বিনিয়োগকারীরও সমস্যা।
ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী ল্যান্ড ব্যাঙ্কের কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সেটা যেহেতু এখনও কথার স্তরেই রয়ে গিয়েছে, অনেকেরই আশঙ্কা, আসলে এমন কিছু করা আদৌ সম্ভব নয়। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যই নেই। বস্তুত, গোটা দুনিয়ার অভিজ্ঞতা বলছে, কোথাওই সফল ভাবে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করা যায়নি। ল্যান্ড ব্যাঙ্কের ধারণাটা, ধারণা হিসেবে, চমৎকার কিন্তু তা বাস্তবসম্মত কি না, ভাবতেই হবে।
|
(চলবে) |
শ্রীচক্রবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেম্পল ইউনিভার্সিটিতে ভূগোল ও নগরবিদ্যার শিক্ষক |
|
|
|
|
|