জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ বার বিষ্ণুপুরের কুষ্ঠকলোনিতে সূচনা হল লাক্ষা প্রকল্পের। ১০ একর জমিতে এই প্রকল্প গড়ে উঠবে বলে রবিবার ঘোষণা করেন জেলাশাসক মহম্মদগুলাম আলি আনসারি। ইতিমধ্যে সরকারি তত্ত্বাবধানে চলা ওই কলোনির কাজু, আম, লিচু, পেয়ারা, মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত কর্মীর সংখ্যা ১৪ থেকে ২৮ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই সব কাজের সঙ্গে যুক্ত বাসিন্দাদের দৈনিক মজুরি ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক। কলোনির প্রবীন বাসিন্দা আনন্দ মাহাতো, নবীন বাসিন্দা জগন্নাথ মাইতিরা বলেন, “জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও থেকে প্রশাসনের সমস্ত স্তরের আধিকারিকেরা আমাদের সমস্যা সমাধানে যে ভাবে নিত্যনতুন কর্মসূচি নিচ্ছেন, আমরা খুশি।” খুশি মহিলারাও। কারণ তাঁরাও রোজগারের সুযোগ পাচ্ছেন। রবিবার মাটিতে চারা পুঁতে চাষের সূচনা করেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, “আপাতত ১০ একর জায়গায় চাষ শুরু হল। পরে চাষের পরিধি আরও বাড়বে। তবে কাজের ধারা ধরে রাখতে বাসিন্দাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে।” কলোনির ২৭টি পরিবারের সদস্য সংখ্যৈ ৭৬। জেলা প্রশাসনের কাছে পেয়ে তাঁরা বাসস্থানের সংস্কার, পানীয় জলের নলকূপ বাড়ানো, বন্ধ থাকা পুলিশ ক্যাম্প চালুর দাবি জানিয়েছেন। কলোনির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য শীঘ্রই আরও নানা কর্মসূচি নেওয়ার জন্য বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন আধিকারিকেরা। |