নিজস্ব সংবাদদাতা • মহম্মদবাজার |
মহম্মদবাজারের আঙ্গারগড়িয়া থেকে সোঁতশাল মোড়। ১২ কিলোমিটার ওই রাস্তাটি চওড়া এবং পাকা করা স্থানীয় বাসিন্দারের দীর্ঘদিনের দাবি। একই সঙ্গে প্রশাসনের সকল স্তরে ওই রাস্তার উপর থাকা সেতু দু’টিরও সংস্কার ও চলাচলের যোগ্য করে তোলার দাবিও জানিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্তু প্রশাসন তঁদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জিতেন ভট্টাচার্যের দাবি, “ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পূর্ত দফতরের কাছে ওই রাস্তা ও সেতু দু’টি সারানোর দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু পূর্ত দফতরের কোনও হেলদোল নেই।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আঙ্গারগড়িয়া থেকে সোঁতশাল মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির ভালই গুরুত্ব আছে। কেন না এলাকার পঞ্চাশটিরও বেশি গ্রামের বাসিন্দারা ছাড়াও, বহু লোকজন এবং যানবাহন চলাচল করে ওই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু তা বেহাল হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় সকলকে। সাঁইথিয়া-মহম্মদবাজার রাস্তার আঙ্গারগড়িয়া মোড় থেকে মালডিহা, গণেশপুর, গিরিপুর হয়ে পুরাতনগ্রাম, রাউতড়া, মকদমনগর হয়ে সেকেড্ডা পঞ্চায়েতের সোঁতশাল মোড়ে মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মিশেছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি চওড়া ও পিচ করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা আছে বলে মনে হয় না। তা সত্বেও শুধুমাত্র প্রশাসনিক উদ্যোগের অভাবে আজও রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা আঙ্গারগড়িয়ার সমীরণ ঘোষ, গিরিপুরের দেবব্রত মণ্ডল, তেঁতুলবেড়িয়ার পূর্ণচন্দ্র পাল, গিরিপুর হইস্কুলের শিক্ষক অসীম ভট্টাচার্য, নবকুমার মণ্ডলদের ক্ষোভ, “রাস্তাটি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া সবার ক্ষেত্রেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া, সোঁতশাল মোড় থেকে মহম্মদবাজার পর্যন্ত জাতীয় সড়ক কোনও কারণে বন্ধ থাকলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তখন এটিই একমাত্র বিকল্প রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটি মেরামত ও পাকা করার ব্যাপারে প্রশাসন উদাসীন। রাস্তার মধ্যে থাকা দু’টি সেতুর অবস্থাও খুব খারাপ। বেশ নীচু হওয়ায় মাঝে মধ্যেই সেতু দু’টির উপর দিয়ে জল বয়ে যায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।”
মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জিতেন ভট্টাচার্য বলেন, “স্থানীয় লোকজনের দাবি ঠিক। এই রাস্তাটির যথেষ্ট গুরুত্ব থাকা সত্বেও প্রশাসন কেন রাস্তা বা সেতু দু’টি সংস্কারের ব্যবস্থা করছে না বুঝতে পারছি না বুঝতে পারছি না। রাস্তাটি ও সেতু নতুন করে নির্মাণের জন্য পূর্ত দফতরের কাছে বার বার আবেদন করেছি। কিন্তু পূর্ত দফতর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” তিনি আরও বলেন, “যদিও আঙ্গারগড়িয়া মোড় থেকে পুরাতনগ্রাম পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তা পিচের। কিন্তু তার অবস্থাও তথৈবচ। পুরো রাস্তাটি চওড়া হলেও পিচ রাস্তাটি চওড়া এতই কম, ছোট গাড়িও ঠিক মত যেতে পারে না। সোঁতশাল পর্যন্ত যে মোরামের রাস্তা আছে তাও খালে ভর্তি। মানুষজন ও সাইকেল, রিকশা ও অন্যান্য গাড়ি চলাচলের অনুপযুক্ত। পায়ে হাঁটার পক্ষেও কষ্টকর।”
পূর্ত দফতরের (সিউড়ি মহকুমা) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র অতনু মাইতির আশ্বাস, “কোনও প্রকল্পের মধ্যে ঢুকিয়ে বেহাল রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। সেতু দু’টির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।” |