‘ভুয়ো’ শংসাপত্র দিয়ে ধৃত প্রাক্তন প্রধান |
ভুয়ো উত্তরাধিকারীর শংসাপত্র দেওয়ায় রবিবার রাতে গ্রেফতার হলেন কেতুগ্রামের বিল্লেশ্বর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সিপিএমের ধীরাজ পাল। সোমবার কাটোয়া আদালতে শর্ত সাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। পুলিশ জানায়, গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি বারান্দা গ্রামের বাসিন্দা নাড়ুগোপাল মণ্ডল কাটোয়া আদালতে এসিজেএম এজলাসে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাড়ুগোপালবাবুরা তিন ভাই। কোশিগ্রাম মৌজায় তাঁদের কয়েক ছটায় পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। কাটোয়ায় একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার জন্য বর্ধমান ভূমি অধিগ্রহণ দফতর ওই সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে। তার মূল্য দাঁড়ায় ৪৭ হাজার টাকা। ওই টাকার চেক দফতর থেকে সংগ্রহ করার জন্য নাড়ুগেপালবাবুর দাদা ক্ষুদিরাম মণ্ডল কাটোয়ার একজিকিউটিভ আদালতে হলফনামা দেখিয়ে দাবি করেন, তিনিই ওই চেক পাওয়ার এক মাত্র অধিকারী। গত বছর ৯ অক্টোবর ওই হলফনামা দেখেই তাঁকে উত্তরাধিকারীর শংসাপত্র দিয়েছিলেন তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান ধীরাজ পাল। এ পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন নাড়ুগোপালবাবু। মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী (এপিপি) প্রবীর রায় জানান, ওই প্রধানকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন বিচারক।
|
খারাপ চাল দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ |
নিজস্ব চিত্র |
মিড-ডে মিলে রান্না করা খাবারের পরিবর্তে চাল দেওয়া হয়েছিল। সেই চালের মান অত্যন্ত খারাপ। এমন অভিযোগে সোমবার গ্রাম কালনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অভিভাবকেরা দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নিখিল দাস স্কুলে গিয়ে আলোচনা করার পরে বিক্ষোভ থামে। অভিভাবক মঞ্জিল শেখ, বিধান শেখ, সাবির শেখদের অভিযোগ, “যে চাল স্কুল কর্তৃপক্ষ দিয়েছে, তা গবাদি পশুদেরও খাওয়ার যোগ্য নয়।” পঞ্চায়েত সদস্য নিখিলবাবু প্রধান শিক্ষক শঙ্কর অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। শঙ্করবাবুর দাবি, ওই চাল পড়ুয়াদের খাওয়ার জন্য দেওয়া হয়নি। পড়ে নষ্ট হচ্ছিল, তাই গবাদি পশুকে খাওয়াতে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন মিড-ডে মিল রান্না না হওয়া প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, “অল্প পড়ুয়া আসায় রান্না হয়নি।” অভিভাবকেরা অবশ্য তা মানতে চাননি। এমন আর ঘটবে না বলে স্কুলের তরফে আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে। কালনা পূর্ব চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রিয়ব্রত মুখোপাধ্যায়ের আশ্বাস, ঘটনার তদন্ত হবে।
|
বিদ্যুতের বেশি বিল পাওয়ার অভিযোগে সভা |
সংযোগ না থাকা সত্ত্বেও পৌঁছে যাচ্ছে বিল। অস্বাভাবিক বেশি বিল পাচ্ছেন গ্রাহকেরা। রবিবার বিকেলে কালনার জিউধারা এলাকায় একটি সভা আয়োজন করে এমনই অভিযোগ তুলল অল বেঙ্গল ইলেকট্রিক কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের পক্ষে শানওয়াজউদ্দিন মণ্ডলের দাবি, “চাষের মরসুমে গভীর নলকূপ চালানো বন্ধ থাকে। ওই সময়ে বিদ্যুতের বিল বাড়ার কথা নয়। কিন্তু চাষের মরসুম না থাকা সত্ত্বেও অনেকের অস্বাভাবিক বিল আসছে। সংগঠন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে।” সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কুনাল ঘোষের অভিযোগ, “নতুন সরকারের আমলেও বিদ্যুতের দাম বেড়েই চলছে। সরকার আসলে বিদ্যুৎকে পরিষেবা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাইছে না।”
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক ভ্যানচালকের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম উত্তম সর্দার (৩০)। ওই যুবক কালনার গ্রামকালনা এলাকার সর্দার পাড়ার বাসিন্দা। প্রতিবেশীদের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় মদ্যপান করে বাড়ি ফেরার পর ওই যুবকের খিঁচুনি শুরু হয়। রাতে তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর পরে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
|
বম জাতীয় কয়লা বেতন চুক্তিতে বিভিন্ন অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে সোমবার বাঁকালো এরিয়া চত্বরে বিক্ষোভ দেখাল বিএমএস। কর্তৃপক্ষকে দাবিপত্র দেওয়া হয়। |