কাপিষ্ঠায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, বিক্ষোভ বারাবনি থানায় |
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বারাবনি থানায় বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় কাপিষ্ঠা গ্রামের শ’পাঁচেক বাসিন্দা। বারাবনির দায়িত্বে থাকা আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ বারাবনি থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাপিষ্ঠা গ্রাম লাগোয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলা শিকেয় উঠেছে। দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে, তোলা তুলছে, এলাকাবাসীকে গালাগাল ও মারধর করছে। গ্রামবাসী, বিশেষত মহিলারা সন্ধ্যার পরে বাড়ির বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। পুলিশকে বারবার জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। |
তখন চলছে বিক্ষোভ। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
বিক্ষোভের সময়ে থানার ওসি অঘ্যর্র্ মণ্ডলকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১৫ জানুয়ারি স্থানীয় মদনতোড় গ্রামের বেশ কিছু দুষ্কৃতী কাপিষ্ঠা মোড়ে তাণ্ডব চালায়। দোকানপাট, স্কুটার ও মোটরবাইক ভাঙচুর করে। গ্রামবাসীদের মারধর করা হয়। মহিলারাও রেহাই পাননি। ৩২ জনের নামে পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের ধরছে না। শেখ আকু নামে এক দলের পান্ডা-সহ আরও ১৬ জন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে এবং কয়লা মাফিয়া ও দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে বলে স্মারপকলিপিতে দাবি জানানো হয়েছে।
কাপিষ্ঠার বাসিন্দা রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা দিনরাত আতঙ্কে থাকি। দুষ্কৃতীরা কী করছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না।” আর এক বাসিন্দা মাধব মাজি বলেন, “এখন রাতবিরেতে চলাফেরা করা দায়। পুলিশ সক্রিয় না হলে বিপদ বাড়বে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, কাপিষ্ঠা মোড় সংলগ্ন বটতলা, ৯ নম্বর শ্মশান, অশ্বত্থতলা এলাকায় বেশ কয়েকটি অবৈধ মদের ভাটি রয়েছে। সেগুলিতে নিয়মিত দুষ্কৃতীদের আড্ডা বসছে। মদ, গাঁজা ও জুয়ার আসর চলছে। পুলিশ সব জেনেও নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে। ওসি অর্ঘ্য মণ্ডল জানান, তিনি স্মারকলিপি পেয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্ত ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে আনা হবে।
এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কাপিষ্ঠার বাসিন্দারা হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছি। বাকিদেরও ধরা হবে। খোঁজ চলছে।” তবে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তিনি মানতে চাননি। তাঁর দাবি, পুলিশ ওই এলাকায় যথেষ্ট সক্রিয়। তদন্তেও কোনও খামতি নেই। তা সত্ত্বেও তিনি বিস্তারিত খোঁজ নেবেন বলে এডিসিপি আশ্বাস দিয়েছেন। |