টানা চুরি নিয়ামতপুরে, কিনারা হয়নি একটিরও |
পরপর চুরির ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন কুলটির নিয়ামতপুরের বাসিন্দারা। রবিবার রাতে এলাকার একটি গয়নার দোকানে দেওয়াল কেটে লুঠপাট করেছে দুষ্কৃতীরা। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে নিয়ামতপুর ফাঁড়ি এলাকায় তিনটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
নিয়ামতপুরের লছিপুর এলাকার ওই গয়নার দোকানের মালিক বিজয় বর্মন পুলিশকে জানান, সোমবার সকালে দোকান খোলার পরে দেখেন, পিছনের দিকের দেওয়াল গোল করে কাটা। দোকানের বেশ কিছু সোনা-রুপোর গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার অন্য ব্যবসায়ীরা জড়ো হন। কিছু ক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এ বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ সবিস্তার খোঁজখবর করছে।”
এলাকায় পরপর চুরির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। সোমবার যে এলাকায় সোনার দোকানে চুরি হয়েছে, সেখানকার বাসিন্দা তথা কুলটি পুরসভার উপপ্রধান কংগ্রেসের বাচ্চু রায় অভিযোগ করেন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্যই বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। বাচ্চুবাবুর কথায়, “এলাকায় পুলিশি টহল চলছে না। আমরা আতঙ্কে আছি। পুলিশের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তাদের কোনও হেলদোল নেই।” সিপিএমের কুলটি জোনাল সম্পাদক সাগর মুখোপাধ্যায়ও বলেন, “পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলেই পরপর চুরি হচ্ছে।”
সোমবার এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, নিয়ামতপুরে লছিপুরের কাছে জি টি রোড থেকে মাত্রা কয়েক হাত দূরেই রয়েছে ওই সোনার দোকানটি। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, এলাকায় একটি যৌনপল্লি রয়েছে। প্রতি দিন গভীর রাত পর্যন্ত একাধিক পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। রবিবার রাতেও সেখানে পুলিশের গাড়ি থাকতে দেখা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও দোকানের দেওয়াল কেটে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। জানা গিয়েছে, ২৮ জানুয়ারি লছিপুর সংলগ্ন একটি খাটালের গেট ভেঙে দুষ্কৃতীরা মূল্যবান কিছু যন্ত্রাংশ চুরি করে পালায়। ৩১ জানুয়ারি নিয়ামতপুরের ভাড়রা এলাকায় একটি বাড়ির তালা ভেঙে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। গৃহকর্তা অজয় মণ্ডল অভিযোগে জানান, পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ির সকলে অন্যত্র গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে। এই সব ঘটনার কোনও কিনারা হওয়ার আগেই লছিপুরে সোনার দোকানে ফের লুঠপাট চালালো দুষ্কৃতীরা। পুলিশ অবশ্য জানায়, তদন্ত চলছে। দুষ্কৃতীদের ধরা হবে। |