চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলায়। নার্সিংহোম সূত্রের খবর, মৃতার নাম অনিমা বাগ (৩০)। বাড়ি কুমিড়মোড়ায়। বাপের বাড়ি স্থানীয় বেলেডাঙায়।
পুলিশ ও নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে অনিমাদেবীকে চণ্ডীতলায় অহল্যাবাঈ রোডের ধারে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। রাতেই চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে প্রসব করান। এর পরে তাঁর অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
রাত ২টো নাগাদ নার্সিংহোমের তরফে অনিমাদেবীর বাড়ির লোককে ফোনে জানানো হয়, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হবে। বাড়ির লোকের পৌঁছনোর অপেক্ষা না করেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়ে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে পৌঁছনোর পরে চিকিৎসকেরা ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ সকালে ফিরিয়ে আনা হয় চণ্ডীতলায়।
অনিমাদেবীর মৃত্যুর খবর ছড়াতেই তাঁর বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা নার্সিংহোমে ভিড় জমান। শুরু হয় বিক্ষোভ। স্থানীয় কিছু গ্রামবাসীও তাতে সামিল হন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতেই ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তা ছাড়া, বাড়ির লোকের অনুপস্থিতিতে কেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অনিমাকে অন্যত্র নিয়ে গেলেন, সে প্রশ্নও তোলেন বিক্ষোভকারীরা। এক সময়ে মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নার্সিংহোমের কোলাপসিব্ল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় চণ্ডীতলা থানায়। বিক্ষোভকারীরা কোলাপসিবল গেট ভেঙে ফেলার উপক্রম করে। পুলিশ এসে নিরস্ত করে বিক্ষোভকারীদের। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) রায়নারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটা বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে তা সামলায়। লিখিত কোনও অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি।”
নার্সিংহোম সূত্রে জানানো হয়েছে, সদ্যোজাত শিশুটিরও শারীরিক অবস্থা জটিল ছিল। সেই কথা বিবেচনা করে শিশুটিকেও উপযুক্ত সুবিধাযুক্ত একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়েছেন তাঁরা। প্রসূতিকে বাঁচানোর তাগিদেই তাঁকে অপেক্ষাকৃত ‘বড়’ নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন বলে চণ্ডীতলার ওই নার্সিংহাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। |