এক ট্রাফিক হোমগার্ডকে চাপা দেওয়ার পর ৩৬ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও পিকআপ ভ্যানের চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রবিবার ওই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্য পুলিশের আইজি সঞ্জয় সিংহ। তিনি চালককে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “গাড়িটি আটক করা হয়েছে। তার চালকের খোঁজে তল্লাশি করা হচ্ছে। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব বলেই আশা করছি।” শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ শিলিগুড়ি থানার হাসমিচকে কর্তব্যরত অবস্থায় এক ট্রাফিক হোমগার্ডকে চাপা দেয় একটি পিকআপ ভ্যান। ঘটনার পর হিলকার্ট রোড সংলগ্ন একটি গলির রাস্তা ধরে পালিয়ে যায় ভ্যানটি। |
ঘটনার সময় হাসমিচকে একজন অফিসার সহ আরও ৩ জন ট্রাফিক পুলিশ কর্মী দায়িত্বে ছিলেন। বর্ধমান রোড সহ অন্য রাস্তাগুলিতে ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা ছিলেন তা সত্বেও কীভাবে পিকআপ ভ্যানটি পালিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেক্ষেত্রে কারও গাফিলতি ছিল কী না তা খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন পুলিশ মহলের একাংশ। এদিন আইজির পাশে দার্জিলিং জেলা পুলিশ সুপার আনন্দ কুমার অবশ্য গাফিলতির বিষয়টি মানতে চাননি। তিনি বলেন, “ওই ঘটনায় কারও গাফিলতি ছিল না। গতিতে থাকায় গাড়িটি পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে। ট্রাফিক কর্মীরা গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে। রাতে গাড়িটি ধরা পড়ে। চালকের খোঁজ করা হচ্ছে।” পুলিশ জানতে পেরেছে, রাজগঞ্জের জমিদারগছ এলাকার এক যুবক গাড়িটির চালক। তার বাড়ি থেকেই গাড়িটি পাওয়া যায়। গাড়ি মালিকের বাড়ি আমবাড়ি-ফালকাটায়। এদিন মৃত ট্রাফিক হোমগার্ড নৃপেন ঘোষের (৫০) মৃতদেহ পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দার্জিলিং জেলা পুলিশ সুপার, শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি, দার্জিলিং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুনাল অগ্রবালের উপস্থিতিতে সম্মান জানানো হয়। পুলিশ সুপার জানান, মৃতের পরিবার ২ লক্ষ টাকা সহায়তা পাবেন। এ ছাড়াও মৃতের ছেলেকে চাকরি দেওয়া হবে।
মৃত নৃপেন ঘোষের মরদেহে সম্মান জানানো হচ্ছে জেলা পুলিশের তরফে। |