মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় এ বার জুনিয়র কনস্টেবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার উপদ্রুত এলাকা থেকে ৫ হাজার জুনিয়র কনস্টেবল নিয়োগের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার নিয়োগের জন্য উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা শুরু হবে বলে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আবেদনকারীরা স্থানীয় থানা থেকে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করবেন। তারপর শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হবে। পরবর্তীকালে সফল আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে।”
জুনিয়ার কনস্টেবল পদে কয়েক হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। বিভিন্ন থানা থেকেই আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছিল। থানা থেকেই অ্যাডমিটও দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার থেকেই সংশ্লিষ্ট থানায় অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে যাবেন আবেদনকারীরা। তার জন্য দু’টি নথি নিয়ে যেতে হবে আবেদনকারীদেরআবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র ও স্থায়ী বাসস্থানের শংসাপত্র। দু’টি প্রমাণপত্র দেখালেই থানা অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে দেবে। ওই অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।
জঙ্গলমহল থেকে ১০ হাজার তরুণ-তরুণীকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল নতুন রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় নিয়োগের কাজ প্রায় শেষ। সেক্ষেত্রেও শারীরিক সক্ষমতা, লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই নিয়োগ হয়েছিল। মাওবাদী উপদ্রুত কোনও ব্লক থেকে ৬৭ জন তো কোনও ব্লক থেকে ৬৯ জনকে নিয়োগ করা হয়। সব মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১১টি ব্লক থেকে প্রায় ৭৫০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এ বার একই ভাবে জুনিয়ার কনস্টেবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |