ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বারিকুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামলী হাঁসদা। রবিবার রানিবাঁধ ব্লকের আকখুটা মোড়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠান মঞ্চে শ্যামলীদেবী এ কথা ঘোষণা করেন। এ দিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির সভাপতি আদিত্য কিস্কু।
ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি পরিচালিত বারিকুল গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০০৮ সাল থেকে শ্যামলীদেবী প্রধান পদে রয়েছেন। ১০ সদস্যের এই পঞ্চায়েতে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির সদস্য সংখ্যা সাত এবং বাকি তিন জন সিপিএমের। শ্যামলীদেবীর দলত্যাগে ওই পঞ্চায়েতে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ছয়ে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার কথা জানালেও শ্যামলীদেবী প্রধান পদ ছাড়তে নারাজ। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জোট সরকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। সেই কর্মযজ্ঞে সামিল হওয়ার জন্যই তৃণমূলে যোগ দিলাম। এই মুহূর্তে তৃণমূলই একমাত্র দল যারা জঙ্গলমহলে শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।” এ দিকে রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা চিত্ত মাহাতোর দাবি, “নতুন সরকারের কাজ দেখে অনেকেই এখন অমাদের দলে যোগ দিতে চাইছেন।”
ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি জানিয়েছে, দলত্যাগী ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। শ্যামলীদেবীর দলবদল প্রসঙ্গে আদিত্যবাবু বলেন, “শ্যমলীদেবী আনুষ্ঠানিক ভাবে দল ছাড়ায় আমরা খুশি। তিনি আমাদের দলের টিকিটে ভোটে জিতে পঞ্চায়েত প্রধান হলেও, কিছুদিন ধরে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিজের সখ্যতা বাড়াচ্ছিলেন। শুধু অনাস্থা প্রস্তাবই নয়, আমরা দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য শ্যামলীদেবীর পঞ্চায়েত সদস্যপদ খারিজেরও আবেদন করব।” |