রত্ন নিয়ে পড়াশোনা
দামি পাথরের সঠিক দাম নির্ধারণ করা, সেগুলি ঠিকঠাক গয়নায় বসানো, সেগুলির কাটিং এবং ক্ল্যারিটির সম্বন্ধে নজর দেওয়া, কোন গয়নায় কী রকম পাথর মানাবে অথবা জ্যোতিষশাস্ত্রের ক্ষেত্রে তার গুণমান কী, এই সমস্ত কাজ হল জেমোলজিস্টদের। বর্তমানে ভারত থেকে বেশ বড় অংশের গয়নাগাটি এবং দামি পাথরের রফতানি হয় নানা দেশে। গোটা বিশ্বে ভারতীয় স্বর্ণকার ও মণিকারদের খ্যাতি এখনও প্রশ্নাতীত। পেশাদারিত্ব যত বাড়ছে তত বাড়ছে জেমোলজিস্টদের চাহিদাও।
এই কোর্স করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ন্যূনতম বয়সসীমা আঠারো বছর। নয়ডার জুয়েলারি ডিজাইন অ্যান্ড টেকনলজি ইনস্টিটিউটে (/) জেমোলজি, ডায়মন্ড আইডেন্টিফিকেশন এবং জেমস্টোন আইডেন্টিফিকেশনের ওপর স্বল্পমেয়াদী কোর্স করানো হয়। মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব জুয়েলারিতে () তিন বছরের জুয়েলারি প্রফেশনাল কোর্স আছে। এই কোর্সে জেমোলজি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে স্পেশালাইজেশন করা যায়। এ ছাড়া আর্চ অ্যাকাডেমি অব ডিজাইন-এ (/) জেমোলজি (জেম আইডেন্টিফিকেশন, জেম স্টোন প্রসেসিং, ফান্ডামেন্টালস অব রাশি-রত্ন, ডায়মন্ড স্টাডিজ)-র ওপর বিভিন্ন কোর্স করায়।

• এই পেশায় থাকতে গেলে চাই তীক্ষ্ম দৃষ্টিশক্তি, কঠোর মনঃসংযোগ, সহিষ্ণুতা, ধৈর্য।
• এ ছাড়া জনসংযোগের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতাটাও বিশেষ জরুরি।
• সাধারণত কাজের সুযোগ আছে জুয়েলারি হাউস, কাস্টমস এবং বিমা সংস্থাগুলিতে (জেনারেল)।


দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ভবিষ্যতে ‘ফুড টেকনলজি’ পড়তে আগ্রহী। কী যোগ্যতা লাগে? এই বিষয় নিয়ে পড়তে হলে আমায় স্নাতকস্তরে কী বিষয় নিয়ে ভর্তি হতে হবে?

দ্বীপশিখা মজুমদার, কল্যাণী

রাজ্যে ফুড টেকনলজি-তে ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি দু’টি কোর্সই পড়ানো হয়। জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক এবং মুর্শিদাবাদের শেখপাড়া পলিটেকনিকে ফুড টেকনলজিতে ডিপ্লোমা করা যায়। মাধ্যমিকের পর পলিটেকনিক জয়েন্টের মাধ্যমে এই কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। এ বছর থেকে ফুড টেকনলজির ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে আসতে হবে। হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, গুরু নানক ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, টেকনো ইন্ডিয়া-তে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি-র অধীনে ফুড টেকনলজি পড়ানো হয়। এ ছাড়া, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও ৪ বছরের বি ই ডিগ্রি কোর্স আছে। খড়্গপুর আই আই টি-তে আছে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার সুযোগ। এর জন্য আই আই টি জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিতে হবে। যেহেতু জয়েন্ট এন্ট্রান্স বা আই আই টি জয়েন্ট দিয়েই এই বিষয়টি পড়তে হয়, সেহেতু উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান শাখার সব ক’টি বিষয়, বিশেষত ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, অঙ্ক খুব ভাল ভাবে পড়তে হবে। ফুড টেকনলজির ক্ষেত্রে কেমিস্ট্রির পাশাপাশি বায়োলজিতে দক্ষ হওয়া খুব জরুরি। বিষয়টি আদতে মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সটির নাম ফুড টেকনলজি অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। যাদবপুরে ২ বছরের এম ই পড়ার জন্য যোগ্যতা লাগে বি ই/ বি টেক এবং ‘গেট’ উত্তীর্ণ। এ ছাড়া, কানপুরের হারকোর্ট বাটলার ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, নাগপুরের লক্ষ্মীনারায়ণ ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে ফুড টেকনলজি পড়া যায়।

দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার ছাত্র। ভবিষ্যতে অঙ্ক নিয়ে পড়তে চাই। রাজ্যের বাইরে কোথায় অঙ্ক নিয়ে পড়া যাবে?
গৌরব ভট্টাচার্য, হাওড়া

সারা ভারতে নানান রাজ্যে গণিত পড়ার ব্যবস্থা আছে। সাধারণ ভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতে কোথাও সরাসরি, কোথাও বা প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে অনার্স পড়ার সুযোগ আছে। চেন্নাই ম্যাথমেটিক্যাল ইনস্টিটিউট-এ (/ ) বি এসসি অনার্স ইন ম্যাথমেটিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স-এ ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে গণিত এবং কম্পিউটার সায়েন্স থাকতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে স্কলারশিপ সহ বি এসসি পড়া যায়। এর পর এম এসসি এবং পিএইচ ডি করারও সুবিধা আছে। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউট-এ (/) বি ম্যাথ ও এম ম্যাথ পড়া যায়। এবং পরে পিএইচ ডি করার সুযোগ থাকে। এখানে পড়ার সময় প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রকে মাসিক স্কলারশিপও দেওয়া হয়। আই আই টি দিল্লি, রুরকি (/), খড়্গপুর (/) ইত্যাদিতে অঙ্ক নিয়ে স্নাতক পড়ার সুযোগ আছে। আই আই টি দিল্লি (/) ৫ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এম টেক কোর্স করায়। আই আই টি রুরকি খড়্গপুরে আছে ৫ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এম এসসি প্রোগ্রাম। এখানে ভর্তি হতে আই আই টি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে হয়। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স-এ (/) আছে ৪ বছরের বি এস প্রোগ্রাম যেখানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অঙ্ক। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, অঙ্ক সহ অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর থাকলে তবেই আবেদন করা যাবে।

ফোকাস


শিক্ষক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

স্নাতক স্তরে বাংলা পড়ছি। ভবিষ্যতে তুলনামূলক সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করতে চাই। কোথায় পড়া যাবে? কাজের সুযোগ কেমন?

অনিকেত রায়, কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গে তুলনামূলক সাহিত্যে এম এ পড়ানো হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি-তে। এ ছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পারেটিভ ইন্ডিয়ান লিটরেচার নামে একটি মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্স আছে। রাজ্যের বাইরে দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে বিষয়টি পড়া যেতে পারে মডার্ন ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটেরারি স্টাডিজ নামে। এ ছাড়া, দক্ষিণ গুজরাত, হায়দরাবাদ, গাঁধীনগর ইউনিভার্সিটি সহ ভারতের বেশ কিছু জায়গায় তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ আছে। কোথাও কোথাও ইংরেজি বিভাগের সঙ্গে এই বিভাগটিও যুক্ত। চাকরির ক্ষেত্রে অধ্যাপনার পাশাপাশি অনুবাদ, মিডিয়ার নানান ক্ষেত্র, বিজ্ঞাপনের জগতে তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীরা যথেষ্ট কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। তা ছাড়া, সর্বভারতীয় স্তরে নানান প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাওয়া যায়।

দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:



Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.