|
|
|
|
মুকুলের সঙ্গে কথা |
হলদিয়া নিয়ে শুভেন্দু কনভেনশন ডাকছেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হলদিয়া বন্দরের স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়ে এ বার ময়দানে নামছেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
হলদিয়া বন্দরের উন্নয়নের কাজ জাহাজ মন্ত্রক ঠিকমতো করছে না বলে আগেই সরব হয়েছেন শুভেন্দু। পলি তোলার কাজ ঠিকমতো না হওয়ায় হলদিয়া বন্দরের নাব্যতার সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে, জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী তৃণমূলেরই সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। যিনি আবার দাবি করছেন, হলদিয়া বন্দরের নাব্যতার সঙ্কট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। দলের এই দুই শীর্ষ নেতার পারস্পরিক এই মতানৈক্যে জল্পনা চলছে দলের অন্দরে।
কারণ, জাহাজ মন্ত্রকের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ, “নাব্যতার সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে হলদিয়ায়। বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। জাহাজ মন্ত্রক ও কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে উদাসীন।” হলদিয়া বন্দর নিয়ে দলের তরুণ সাংসদের এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে রবিবার শুভেন্দুর সঙ্গে ফোনে বলেন মুকুলবাবু। পরে মুকুলবাবু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করার কিছু নেই। সকালেই শুভেন্দুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ হিসেবে শুভেন্দু যা বলেছে, সেটা কিছুটা হলেও সত্যি। আসলে শুভেন্দু চাইছে, কলকাতার মতোই হলদিয়াও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠুক।” অর্থাৎ হলদিয়ার পলি তোলার কাজ যে ঠিকমতো হচ্ছে না, তা প্রকারান্তরে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে মুকুলবাবুর এই প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট। মুকুলবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা হলেও শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া বন্দরের স্বশাসনের দাবিতে তিনি একটি কনভেনশন আয়োজন করবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন। সেখানে তিনি স্থানীয় মানুষের মতামত শুনবেন। যা থেকে স্পষ্ট, জাহাজ মন্ত্রকের উপরে হলদিয়া নিয়ে শুভেন্দু ‘চাপ’ বজায় রাখতে চান।
হলদিয়া বন্দরের দায়িত্ব কলকাতা বন্দরের আওতা থেকে মুক্ত করে পৃথক ভাবে হলদিয়া পোর্ট অথরিটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন শুভেন্দু। চাইছেন, হলদিয়ার পলি তোলার কাজ জাহাজ মন্ত্রকের অধীনস্থ ড্রেজিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (ডিসিআই)-র বদলে বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হোক। জাহাজ মন্ত্রকের কাজের বিরুদ্ধে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দুর এই ‘অসন্তোষ’ প্রশমনে মুকুলবাবু বলেন, “হলদিয়া বন্দরের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা হলেও উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে পলি তোলার কাজ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু শুধু পলি তুলে একটা বন্দরকে সচল রাখা যায় না। তবে হলদিয়ার যাতে গুরুত্ব না হারায়, সে জন্য জাহাজ মন্ত্রক সচেষ্ট।”
ফলে এখন দেখার, দলের দুই সাংসদের মতদ্বৈত নিরসনে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা উদ্যোগী হন। |
|
|
|
|
|