নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
শ্রীরামপুর-বাগবাজার রুটের একটি বেসরকারি বাসের কন্ডাক্টর অলোক আঢ্যকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় বাস-মালিকের ভূমিকা পুলিশকে খতিয়ে দেখতে বললেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।
বাস ভাড়া নিয়ে গোলমালের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে রিষড়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকায় কয়েক জন ‘মদ্যপ’ যুবকের হাতে প্রহৃত হয়ে মারা যান চুঁচুড়ার বড়বাজারের বাসিন্দা অলোকবাবু। সহকর্মীকে মার খেতে দেখেও চালক তাঁকে রেখে বাস নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ।
রবিবার দুপুরে অলোকবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের হাতে দলের তরফে ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন পরিবহণমন্ত্রী। অলোকবাবুর স্ত্রী সুজাতাদেবী মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, “দুর্ঘটনার পর থেকে বাস-মালিক আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি। খুনিরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।” এর পরেই মন্ত্রী বলেন, “পুলিশ সুপারকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। আমি জেনেছি, মালিক এক সিপিএম নেতার মধ্যস্থতায় লিজে বাসটি চালান। পুরো বিষয়টি পুলিশ দেখবে।” হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “ওই ঘটনায় বাস-মালিকের গাফিলতি আছে কী না, পুলিশ তা দেখছে।” |
সুজাতাদেবী মন্ত্রীর কাছে পরিবারের এক জনের চাকরির আবেদন জানান। বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে বলে মদনবাবু আশ্বাস দিলেও চাকরি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পরিবহণ দফতরের দৈন্যদশা ফুটে ওঠে মন্ত্রীর কথায়। তিনি বলেন “রাজ্যে পরিবহণ দফতরের এমন পরিস্থিতি, এক টাকা খরচ করলে তার মধ্যে ৯৬ পয়সাই দেনা শোধ করতে হচ্ছে। কী ভাবে এই বিপুল ক্ষতি সামাল দেওয়া যায় দেখছি।”
মদনবাবু বলেন, “আমার অনুমান, সে দিন সন্ধ্যাবাজারে মদ্যপ যুবকরা শুধু যে অলোকবাবুকে বাস থেকে টেনে নামায় তাই নয়, পাড়া থেকে লোক ডেকে তাঁকে বেধড়ক মারা হয়। খোঁজ নিয়ে জেনেছি অলোকবাবু অত্যন্ত ভদ্র ছিলেন। আমি নিশ্চিত, খুনের উদ্দেশ্যেই তাঁকে মারা হয়েছে। অতীতের কোনও বাসের গণ্ডগোলের ঘটনার জেরে এই ঘটনা কী না, তা দেখতে হবে।” তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, সারা জেলায় তৃণমূলের বাস শ্রমিক কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা এক দিনের বেতন তুলে দেবেন অলোকবাবুর পরিবারের হাতে। |