নিখোঁজ শিশুর সন্ধানে শিলচরে সিবিআই
০০৬ সালে শিলং থেকে অপহৃত হয়েছিল সাড়ে চার বছরের হর্ষা গোয়েল। বিভিন্ন মহলেরই অনুমান, তাকে হয় তো আটকে রাখা হয়েছে শিলচরের নিষিদ্ধপল্লিতে। সিবিআই এখন এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই তদন্ত চালাচ্ছে। ডেপুটি পুলিশ সুপার বি কে প্রধানের নেতৃত্বে চারজনের একটি দল পাঁচদিন ধরে শিলচরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে। আজ তাঁরা যান শিলচর সেন্ট্রাল জেলে। দিন কয়েক আগে নিষিদ্ধপল্লি থেকে ধৃত হেনা তামাংকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশে হেনাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিলচরের রাধামাধব রোড এলাকায় সত্তর দশকে গড়ে ওঠা নিষিদ্ধ পল্লিটি তুলে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে শিলচর পুলিশও। মেঘালয়ে একটি মহিলা কল্যাণ সমিতির নেত্রী অ্যাগনেস খার্সিং এক চিঠিতে শিলচরের নিষিদ্ধ পল্লিটি অবিলম্বে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কাছে। তাঁর অভিযোগ, ৮ থেকে ১৩ বছর বয়সের বেশ কিছু মেয়েকে এখানে আটকে রাখা হয়েছে। অ্যগনেসের ধারণা, পুলিশ ঠিকমতো অভিযান চালালে শিলং থেকে অপহৃত হর্ষা গোয়েলেরও সন্ধান মিলতে পারে এখানে। অ্যগনেসের অভিযোগের সূত্রে পুলিশ ওই পল্লি থেকে হেনা তামাং নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে।
শিলচরের নিষিদ্ধপল্লি উঠিয়ে দিতে চাইলেও বলপ্রয়োগ করে যৌনকর্মীদের তাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন কাছাড়ের পুলিশ সুপার দীপক চৌধুরী। তাঁর অভিমত, শহরের মাঝে বেআইনি ভাবে একটি নির্দিষ্ট পল্লিতে দেহ ব্যবসা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পাশাপাশি, এটাও বুঝতে হবে যে, যৌনকর্মীরা অপরাধী নন।
তাঁরা পরিস্থিতির শিকারমাত্র। তাই পুলিশ সুপার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
শিলচরের রাধামাধব রোডে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ঘরবাড়ি করে দেহ ব্যবসার ব্যবসার সূচনা হয় সত্তরের দশকে। প্রথমে ওই স্থানে মুষ্টিমেয় কয়েক জন যৌনকর্মী থাকলেও এখন ওই সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবর। দিন কয়েক আগেই মেঘালয় পুলিশ ওই পল্লি থেকে ৯ বছরের এক শিশু এবং তিন জন মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অভিযোগ, তাদের চাকরির প্রলোভন দিয়ে শিলচরের নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন এবং সমাজকল্যাণ বিভাগকে চিঠি লিখে দীপকবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, নিষিদ্ধপল্লির কাজকারবার নানা ভাবেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটায়। এ জন্যই ওই পল্লিতে থাকা যৌনকর্মীদের সুষ্ঠু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। দেখতে হবে, এই পেশাজীবীদের জীবনধারণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা কী করা যায়। প্রথমেই দেখা হচ্ছে, এখানে এই পেশায় কতজন মহিলা আছেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ওই পল্লিতে বসবাসকারী যৌনকর্মীদের সংখ্যা নিরূপণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফুসলিয়ে বা জোর করে ধরে এনে আটকে রাখার নানা অভিযোগ মাঝেমধ্যেই আসে শিলচর পুলিশের কাছে। কয়েকজন কিশোরী ও যুবতী পালানোর সুযোগ পেয়ে শিলচর থানায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে। থানার ওসি এস সি শর্মা জানান, এমন সব ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে এই সব মেয়েদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.