|
|
|
|
চুক্তিতে ব্যাপক অনিয়ম, বলেছিল তদন্ত কমিটি |
সংবাদসংস্থা • বেঙ্গালুরু |
অ্যানট্রিক্স-ডেভাস চুক্তিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছিল মহাকাশ দফতর নিযুক্ত তদন্ত কমিটি। ওই অনিয়মের জন্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রাক্তন প্রধান জি মাধবন নায়ার ও অন্য তিন বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে সরাসরি আঙুল তুলেছিল তারা। ওই চার বিজ্ঞানীকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অ্যানট্রিক্স ও বেসরকারি সংস্থা ডেভাসের চুক্তি নিয়ে বিতর্কের জেরে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় মহাকাশ দফতর। পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার প্রত্যুষ সিংহ। কমিটির মতে, এই চুক্তির ক্ষেত্রে বড়
ধরনের প্রশাসনিক ও পদ্ধতিগত অনিয়ম হয়েছে। ফলে অনেক বেশি সুবিধা পেয়েছে ডেভাস। কোনও কোনও ব্যক্তি এই অনিয়মে মদত দিয়েছেন বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
|
জি মাধবন নায়ার |
তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, ২০০৫ সালের ২৮ জানুয়ারি অ্যানট্রিক্স ও ডেভাসের চুক্তি হয়। কিন্তু, মহাকাশ কমিশন বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে তখন এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ওই চুক্তির অধীনেই জিস্যাট-৬ উপগ্রহ তৈরির কথা ছিল। ২০০৫ সালের ২৭ নভেম্বর জিস্যাট-৬ উৎক্ষেপণের জন্য একটি নোটে মন্ত্রিসভার অনুমোদন চাওয়া হয়। অথচ সেই নোটেও অ্যানট্রিক্স-ডেভাস চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি বলে দাবি মাধবনের। প্রকাশিত রিপোর্ট ভুল ও অসঙ্গতিতে ভরা বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “রিপোর্টের যে অংশ প্রকাশ করলে নিজেদের সুবিধে হয় সেগুলিই বেছে নিয়েছে মহাকাশ দফতর। এটা কাপুরুষতা।” মাধবনের মতে, তিনি ও অন্য তিন বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু, আনুষ্ঠানিক তদন্ত করে তাঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়নি। এটা খুবই অদ্ভুত। তাঁর দাবি, “এই রিপোর্ট দু’একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত মত।”
ডেভাস চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। দলীয় মুখপাত্র নির্মলা সীতারামন বলেছেন,“এই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এখনও মুখ খোলেননি। আমরা চাই তিনি নিজের বক্তব্য স্পষ্ট ভাষায় জানান।” সীতারামনের মতে, অ্যানট্রিক্স-ডেভাস চুক্তি নিয়ে ইউপিএ সরকারকে অনেক জবাবদিহি করতে হবে। কারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা জানা প্রয়োজন। চার বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তাও জানাতে হবে সরকারকে। ওই চার বিজ্ঞানীর আদৌ এই চুক্তি অনুমোদন করার ক্ষমতা ছিল কি না সেই প্রশ্নও তুলেছে বিজেপি। সীতারামনের মতে, অনেক প্রশ্নেরই এখনও জবাব মেলেনি। |
|
|
|
|
|