|
|
|
|
প্রতীক নিয়ে সমস্যা, কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে পা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দলের সাংসদ, নেতা-নেত্রীরা প্রচারেও গিয়েছেন। কিন্তু প্রতীক নিয়ে সমস্যার জেরে প্রথম তিন দফার নির্বাচনে তৃণমূলের শ’খানেক প্রার্থী মনোনয়নই জমা দিতে পারেননি। বেগতিক দেখে তৃণমূল কংগ্রেস এ বার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেস এখনও জাতীয় দল নয়। তাই সব রাজ্যেই যে তৃণমূল প্রার্থীরা ‘ঘাসের উপর জোড়াফুল’ প্রতীকে লড়তে পারবেন, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর-সহ যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে, তার সব ক’টিতেই তৃণমূল তাদের ঘাসফুল প্রতীকে লড়তে পারে। দলের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, “৬ জানুয়ারি নিবার্চন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী সমস্ত প্রার্থীকেই আমাদের ঘাসফুল প্রতীকে লড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
তা সত্ত্বেও সমস্যা কেন?
কাকলিদেবীর অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রির্টানিং অফিসাররা তৃণমূল প্রার্থীদের ভুল বোঝাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ঘাসফুল প্রতীক নিয়ে তাঁরা উত্তরপ্রদেশে লড়তে পারবেন না। অধিকাংশ জায়গাতেই এর ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
তৃণমূল উত্তরপ্রদেশে নতুন দল। সবে সংগঠন গড়ার চেষ্টা চলছে।
দলের নেতৃত্বের সঙ্গেও অনেক প্রার্থীর ঠিক মতো যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। কাকলি বলেন, “অনেক জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের চিঠির প্রতিলিপি ফ্যাক্স করে পাঠিয়েছি। কিন্তু অনেক প্রার্থী আমাদের সঙ্গে ঠিক সময়ে যোগাযোগ করে উঠে পারতে পারেননি।” ফলে সব মিলিয়ে প্রথম তিন দফার নির্বাচনে মাত্র ৫৪জন মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন।
এই পরিস্থিতিতে পরের দফার নির্বাচনগুলিতে যাতে তৃণমূল প্রার্থীরা সকলেই মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক উমেশ সিনহাকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কাকলি জানান, সোমবার মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এস ওয়াই কুরেশিকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে। কাকলির অভিযোগ, শুধু মনোনয়ন জমা দেওয়া নয়, প্রচারের কাজেও দলের নেতা-কর্মীদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, “বেশ কিছু আসনে আমাদের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এ দিকে প্রার্থীরা মনোনয়নই জমা দিতে পারছেন না।” |
|
|
|
|
|