|
|
|
|
চিদম্বরম-রায়ে উজ্জীবিত, আক্রমণে রাহুল-প্রিয়ঙ্কা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পি চিদম্বরম সম্পর্কে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে এ বার উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ঢেউ তুলতে চাইছে কংগ্রেস। আজ রায়বরেলীতে প্রচারে নেমে প্রিয়ঙ্কা বঢরা যুক্তি দিয়েছেন, বিরোধীদের দুর্নীতির অভিযোগ সামলাতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা ইউপিএ-সরকারের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। টুজি-কাণ্ডে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে গত কালই রায় দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এই রায়ে উজ্জীবিত রাহুল গাঁধী উত্তরপ্রদেশের প্রচারে গিয়ে বলছেন, তাঁদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। কাজেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে কংগ্রেস সমঝোতা করবে না।
সেই একই সুরে আজ প্রিয়ঙ্কা বলেন, “আমার মনে হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দেশের মানুষের প্রতি তাঁর বিরাট দায়িত্ব রয়েছে, কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি এই সব অভিযোগের জবাব দিয়ে গিয়ে সময় নষ্ট করতে হচ্ছে তাঁকে।”
আদালতে চিদম্বরমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। নাম করেও স্বামীকে কটাক্ষ করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “যাঁরা চিদম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব বা কাজকর্ম নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন তাঁরা।”
সুপ্রিম কোর্ট ১২২টি টুজি লাইসেন্স বাতিল করলেও নিম্ন আদালত যে ভাবে এ বিষয়ে চিদম্বরমকে ছাড়পত্র দিয়েছে, তাতে কংগ্রেস যথেষ্ট স্বস্তিতে। কারণ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা কংগ্রেসের কারও গায়ে এই দুর্নীতির আঁচ এখনও লাগেনি। বরং গোটা দায় চেপেছে ডিএমকে-র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ রাজার উপরে। আজ তাই রায়বরেলীতে প্রিয়ঙ্কা আজ প্রধানমন্ত্রীর সততার কথা উল্লেখ করে বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের সরকারকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।”
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এই সব দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে বিরোধীরা বিশেষ ফায়দা লুটতে পারবে না বলেই মনে করছেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর বক্তব্য, “আমি যেটুকু অনুভব করেছি, বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিষয়ই প্রধান হয়ে ওঠে। সেই হিসেবে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নই মূল লড়াইয়ের বিষয়। কারণ উন্নয়নের নিরিখে উত্তরপ্রদেশ যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে। রাহুলও জাতপাতের বদলে উন্নয়নকেই মূল বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন।” |
|
|
|
|
|