যথার্থ মর্যাদার সঙ্গে রবিবার বিশ্ব নবি দিবস পালিত হল সাঁইথিয়া-সহ বীরভূম জেলার বিভিন্ন এলাকায়। নিহারিপট্টি, কসাইপাড়া, ডাঙ্গালপাড়া, দর্জিপাড়া-সহ সাঁইথিয়া শহরের নানা জায়গায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ শোভাযাত্রায় বের হন। শোভাযাত্রায় যোগ দেন সাঁইথিয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান কাজী কামাল হোসেন। তিনি বলেন, “ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে মানুষ শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন। দেখে খুব ভাল লাগছিল।” সাঁইথিয়ার পুরপ্রধান বীরেন্দ্রকুমার পারখ বলেন, “এ দিনের শোভাযাত্রা ছিল দেখার মতো। শহরের শান্তিস্থাপনের জন্য এই ভ্রাতৃত্ববোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” |
নিহারিপট্টিতে শনিবার অনেক রাত পর্যন্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। সাঁইথিয়ার মতোই মহা সমারোহে জেলার দুবরাজপুর, সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট, নলহাটি, রাজনগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় রবিবার নবি দিবস পালিত হয়। এ দিন সকালে দুবরাজপুর শহরের ইসলামপুর-সহ বিভিন্ন মহল্লা মিলে একটি শোভাযাত্রা করে। পরে দুপুরে মোটরবাইকে র্যালি বের হয়। শোভাযাত্রায় ছিলেন দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে-সহ বিশিষ্টজনেরা। রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর, ভাগাড়পাড়া, সুন্ধিপুর, চামড়াগুদামপাড়া-সহ নানা এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষজন শোভাযাত্রা করে রামপুরহাটের পাঁচ মাথার মোড়ে এ দিন সকালে একত্রিত হয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। বোলপুর ও নলহাটিতেও শোভাযাত্রা হয়। সিউড়ির ফকিরপাড়া গঞ্জল পীরসাহেব মাজার থেকে শহরের সমস্ত শ্রেণির মুসমিলরা শোভাযাত্রা করে বাসস্ট্যান্ড, মাদ্রাসা রোড, মসজিদমোড় হয়ে শহর পরিক্রমা করে ওই মাজারে ফেরে। খয়রাশোল, ইদিলপুরেও শোভাযাত্রা ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজনগরেরও মহাসমারোহে দিনটি পালিত হয়। রাজনগরের রাজ পরিবারের প্রবীণ সদস্য মহম্মদ রফিকুল আলম খান বলেন, “এ দিন সকালে রাজনগরের আশপাশের গ্রাম থেকে বিভিন্ন শোভাযাত্রা এসে শাহবাজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জমা হয়। তারপরে সবাই মিলে রাজনগরের ডাকবাংলো, খোদাইবাঁধ-সব বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে। তারপর সারা দিন ধরে নানা রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।” শাবাজিয়া মাদ্রাসার সম্পাদক শেখ মফিজ আলি ও রাহে ইসলাম কমিটির সম্পাদক শেখ মন্টুরা বলেন, “এই দিনটায় মনে হয় সবাই যেন একই পরিবারের সদস্য।” |