টুকরো খবর
তৃণমূলের ‘দ্বন্দ্বে’ সংঘর্ষ, থানায় নালিশ দু’পক্ষেরই
দুবরাজপুর থানার বোধগ্রামে শনিবার বিকেলে একটি সংঘর্ষ ঘটল। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি গোষ্ঠী পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ শনিবার রাতে তৃণমূলের এক নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা হলেন নিরঞ্জন ঘোষ ও মাধব ঘোষ। বাড়ি দুবরাজপুর থানার পদুমাতে। ধৃত দু’জনকে রবিবার দুবরাজপুর বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠান। অপর পক্ষের অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ধৃত নিরঞ্জন ঘোষ ও মাধব ঘোষের দাবি, “আমরা লোবা থেকে পদুমা যাচ্ছিলাম। পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাদের মারধর করে। সেখান থেকে কোনও মতে পালিয়ে আমরা দুবরাজপুর থানায় এসে সাহায্য চাই। কিন্তু থানায় এসে জানতে পারি, আক্রমণকারী ওই দুষ্কৃতীরা আগেই থানায় এসে আমাদের নামে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ করেছে। পুলিশে ওদের কারওকে ধরেনি।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরঞ্জনবাবুরা যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা ছ’ জন বোধগ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা যখন নিরঞ্জনবাবুদের নামে অভিযোগ জানাতে আসেন তখনও নিরঞ্জনবাবুদের অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য পক্ষের অভিযুকিতদের ধরতে তল্লাশি চলছে। দু’পক্ষের অভিযোগকেই গুরুত্ব সহকারে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

মৃত শ্রমিকের মেয়ের বিয়েতে সাহায্য সংগঠনের
মাস খানেক আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ফড়িং মাল (৪১) নামের এক পাথর শ্রমিকের। তাঁরই মেয়ের বিয়েতে পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার শ্রমিক সংগঠন ও মালিক পক্ষ। রবিবার সিপিএমের ওই শ্রমিক সংগঠন মৃতের স্ত্রী রিনা মালের হাতে মেয়ে সান্ত্বনা মালের বিয়ের সাহায্য হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ১৫ হাজার টাকা তুলে দিল। সংগঠনের জেলা সম্পাদক বুদ্ধেশ্বর বাউড়ি বলেন, “৯ জানুয়ারি পাথর শিল্পের সমস্যা নিয়ে সংগঠনের সদস্যরা মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। ফেরার পথে রামপুরহাট থানার কালীডাঙা গ্রামের কাছে দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়ে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন রাতেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় আমাদের সহযোগী ফড়িং মালের।” ঘটনার আগেই ওই শ্রমিকের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সংগঠন এই অবস্থায় মৃত ফড়িংবাবুর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বুদ্ধেশ্বরবাবু জানান, তাঁরা খবর পেয়েছিলেন আগামী ২৪ মাঘ তাঁর মেয়ের বিয়ে। তাঁর এগিয়ে না এলে, ওই বিয়ে অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ত। তাই এলাকার শ্রমিক ও মালিকদের কাছ থেকে সাধ্যমত সাহায্য নিয়ে তাঁরা রিনাদেবীর হাতে ওই টাকা টাকা তুলে দেন।” সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের যাবতীয় খরচ শ্রমিক সংগঠন চাঁদা তুলে মেটাবে। ফড়িংবাবুর স্ত্রী রিনা মাল বলেন, “স্বামী মারা যাওয়ার একমাস আগে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে গিয়েছিলেন। মেয়ের বিয়ের খরচ জোগানোর চেষ্টাও করছিলেন। এরই মধ্যে দুর্ঘটনায় ওঁর মৃত্যু হল। এই অবস্থায় সংগঠন এ ভাবে আমাদের পাশে এসে না দাঁড়ালে মেয়ের বিয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ত।”

লরিতে ধাক্কা গাড়ির, জখম ৫
তারাপীঠ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় আহত হলেন ৫ জন। পানাগড়-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কে বীরভূমের ইলামবাজার থানার উত্তর কোনার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, ৬ জনের একটি দল পুজো দিয়ে রবিবার তারাপীঠ থেকে ফিরছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁদের গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে ধাক্কা মারে। আহত হন চালক-সহ ৫ জন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অনিমেষ সেনগুপ্ত ও বৈদ্যবাটির বাসিন্দা সঞ্জীব-এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ৩ জন হলেন জয়ন্ত ভৌমিক, গাড়ির চালক পাপ্পু ও হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অনিমেষবাবুর ভাই নিখিল সেনগুপ্ত, সুশান্ত রায়।

ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু
ট্রেন থেকে স্টেশনে নামতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে সাঁইথিয়া স্টেশনে। পুলিশ রবিবার পর্যন্ত ওই মহিলার পরিচয় জানাতে পারেনি। রেল পুলিশ জানিয়েছে, আপ অন্ডাল-সাঁইথিয়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি রাত্রি ৯টা নাগাদ সাঁইথিয়া স্টেশনে ঢোকার সময়ে ওই ট্রেন থেকে পড়ে যান। রেল পুলিশ কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে সাঁইথিয়া স্টেশনে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে মৃত বলে জানান। সাঁইথিয়া থানার পুলিশকেও মহিলার পরিচয় সন্ধানের জন্য সাহায্য চাওয়া হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থায়ীকরণের দাবি

সরকারি কর্মচারীদের সমান মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ও রুরাল ডেভলপমেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল। শনিবার ওই কর্মীদের চতুর্থ বার্ষিক সাধারণ সভায় বোলপুরের গীতাঞ্জলি সংস্কৃতি অঙ্গনে এসেছিলেন মন্ত্রী। সরকারি কর্মীদের মতো বার্ষিক বেতনবৃদ্ধি, বদলি নীতি চালু, এসআরডি-আইএসডিপি-স্টারপ্যাডের সকল কর্মীর কাজের স্থায়ীকরণ, পিএফ-স্বাস্থ্যবিমার মতো সামাজিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাগুলি চালু করার ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার দাবি জানানো হয়। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের ১৭টি জেলায় প্রায় আটশোরও বেশি কর্মী এই প্রকল্পগুলিতে কর্মরত। চলতি বছরের ৩১ মার্চ তাঁদের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা। সুব্রতবাবু ওই সংগঠনের দাবিগুলি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.